অবাধ্য মুনিরকে বিক্রিই করে দিল বার্সেলোনা
যে চলে যেতে চায়, তাকে ধরে রাখা যায় না। ধরে রাখার চেষ্টা করাটা বরং বোকামি। বার্সেলোনা সেই বোকামি করলও না। বরং বাধ্য হয়ে ‘অবাধ্য’ মুনির আল হাদ্দাদিকে বিক্রিই করে দিল বার্সেলোনা। বার্সা ছেড়ে স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ড যোগ দিলেন সেভিয়ায়। আনুষ্ঠানিক চুক্তির ২০২২ সাল পর্ন্ত সেভিয়ার হয়ে গেলেন ২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
কিন্তু তিনবারই বার্সেলোনার সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন মুনির। তিনি বরং ক্লাব ছাড়ার জন্যই ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডা শুরু করে দেন। স্বাভাবিকভাবেই সম্পর্কটা রূপ নেয় তিক্ততায়। তিক্ত-বিরক্ত হয়ে বার্সেলোনা কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে তো প্রকাশ্যেই ঘোষণা দেন, মুনির আর বার্সেলোনার জার্সি গায়ে খেলতে পারবে না। বার্সার ভবিষ্যত পরিকল্পনায় মুনির আর নেই। পাশাপাশি তিনি ক্লাব কর্তাদের কাছে দাবি জানান, মুনিরকে এই জানুয়ারিতেই বিক্রি করে দিয়ে কিছু টাকা ঘরে তোলার।
যাই হোক, মুনির ন্যু-ক্যাম্প ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠার কারণ, বেশি বেশি ম্যাচ খেলার আশা। বার্সেলোনায় তারকার ভিড়ে মুনির খেলার সুযোগই তেমন পান না। সেই ২০১৪ সালে বার্সেলোনার মূল দলের হয়ে তার অভিষেক। অথচ গত ৪ বছরে তিনি খেলতে পেরেছেন মাত্র ৩৩টি ম্যাচ।
গত দুই মৌসুমে তিনি ভ্যালেন্সিয়া ও আলাভেসে ধারে খেলেছেন। আলাভেসের হয়ে গত মৌসুমটি কাটিয়েছেনও দারুণ। সব মিলে ৩৭ ম্যাচে করেছিলেন ১৪ গোল। তার পুরস্কার হিসেবেই এবার তাকে দলে রেখে দেয় বার্সেলোনা। কিন্তু মেসি, সুয়ারেজ, কুতিনহো, ডেম্বেলে-আক্রমণভাগের এই ৪ তারকার সঙ্গে লড়াই করে মুনির খেলার সুযোগই তেমননি পাচ্ছেন না। মৌসুমে এ পর্ন্ত খেলেছেন মোটে ১১টি ম্যাচে। এর মধ্যে ৭টি ম্যাচ খেলেছেন লিগে। যার মধ্যে মাত্র ৪টিতে সুযোগ পেয়েছেন শুরুর একাদশে।
মানে বেশির ভাগ ম্যাচেই তাকে বসে থাকতে হচ্ছে বেঞ্চে। কিন্তু মুনির বেঞ্চ গরম করে কাটাতে রাজি নন। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, এমন ক্লাবে যাবেন, যেখানে গেলে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাবেন। এই আকাঙ্খাই বার্সেলোনা ছাড়তে মরিয়া করে তোলে তাকে। শেষ পর্ন্ত জয়ও হলো তার ইচ্ছারই।
আর বেশি বেশি ম্যাচ খেলার আশাতেই তিনি বেছে নিয়েছেন সেভিয়াকে। কারণ, তাকে কেনার দৌড়ে ছিল অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদসহ আরও অনেক ক্লাবই। ইংল্যান্ডের দু-একটি ক্লাব হাত বাড়িয়েছিল তার দিকে। কিন্তু সবার হাত ফিরিয়ে দিয়ে মুনির বেছে নিলেন সেভিয়াকে।
দেখা যাক, সেভিয়ার হয়ে তিনি কতটা কি করতে পারেন।