অমিত্রাক্ষরে হারানো মিত্র
কী আশ্চর্য ! এখনও মনে পড়ে না তোমার
অন্তমিলের কবিতা লেখার কথা ছিল সেদিন
শেষ বিকেলের সূর্যাস্তে যেমন থাকে
পরের দিন প্রভাতেই সূর্য ওঠার প্রতিশ্রুতি
তেমনিতো কথা ছিল তুমি, আমি এবং সে –
মানে আমরা গানে গানে ভরাবো প্রাণের মেলা ।
ঠিক যেমন আমরা একত্রেই তুলে নিয়েছিলাম কাঁধে রাইফেল
শত্রু ও ছিল তখন অভিন্ন , তোমার , আমার এবং তাঁর ।
সেতো শত সহস্র বছর আগেকার কথা নয়
যে স্মৃতির ব্ল্যাকবোর্ডের লেখা মুছে ম্লান হয়ে যাবে সব
এখনওতো ছায়াতে ছবিতে ভরে ওঠে সে দিনের সব স্মৃতি
এখনওতো বক্তারা গর্বিত গলায় করে যান চর্বিত চর্বণ অহরহ।
তবে কি ভুলে গেছ সব, মাটির সানকিতে পান্তা খেয়েছিলাম
তুমি , আমি এবং সে। দাঁত দিয়ে কামড়ে করেছিলাম মরিচ ভাগ
ঠিক যেমন দুঃখগুলো ভাগাভাগি করে নিয়েছিলাম আমরা সবাই
আর অবশেষে সুখ সায়রে ভেসেছিলাম আমরা, তুমি, আমি এবং সে ।
কিন্তু এখন কী হলো যে সব, ছন্দ পারিনে মেলাতে মোটেই
তুমি, আমি ও সে বিভক্ত হয়ে গেছি নানান অমিত্রাক্ষরে
বর্ণমালারা সব ছিঁটকে পড়েছে বিবাদে, ভীষণ বিসম্বাদে
তানপুরার ছেঁড়া তারে, বাঁধবো যে সুর আবার শক্তি পাইনা খুঁজে
কোরাসের কন্ঠরা আজ হারিয়ে যায় কোলাহলের হলাহলে।
বলির পাঁঠা হয়ে যায় বেচারা ধর্ম , জমি দখলের জোর জুলুমে ।
একাত্তরে তো অংক কষিনি সংখ্যাতত্বের কূটকৌশলে আমরা কেউ
ভাবিনি এমন দুঃস্বপ্নে ভরা, দুঃসহ দিনগুলো, জ্বলবে যখন হিংস্র আগুন।
দাবার এ চালে কী বরাবর বিপর্যস্ত হবে সংখ্যার হিসেবে যারা নগন্য অতি
হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ খ্রীষ্টান শুভঙ্করের অশুভ অংকে কতকাল সইবে দূর্গতি।
আনিস আহমেদ(লেখক ও সাংবাদিক)ভয়েস অব আমেেরিকা, ওয়াশিংটনডিসি