অর্থমন্ত্রী হিসেবে আরও এক বছর থাকতে চান মুহিত
অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত আরও এক বছর থাকতে চান। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে তবেই দায়িত্ব পালন করবেন। কারণ,প্রধানমন্ত্রী কোনো কিছু বললে ‘না’ করতে পারেন না। কাজেই,বিষয়টি নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর ওপর।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তার নিজ দফতরে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিমময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মুহিত।
নতুন সরকারের প্রধান কাজ হবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং আর্থিকখাতে শৃংখলা ফিরিয়ে আনা- এ কথা উল্লেখ করে টানা দুই মেয়াদে থাকা পচাঁশি বছর বয়সী অর্থমন্ত্রী আরও জানান, আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ অর্থনীতি অসাধ্য সাধন করবে। সরকারের ধারাবাহিকতা থাকার কারণে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত দেশে পরিণত হবে বলে আশাবাদী তিনি।
মুহিত জানান, কিছু সংখ্যক মানুষ সবসময় সরকারের ওপর নির্ভরশীল থাকে। দারিদ্র্য নিরসনে সব থেকে ভালো করেছে মালয়েশিয়া। তারপরও সেখানে ৭ শতাংশ দরিদ্র রয়েছে।
৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এবারেই প্রথম দলীয় সরকারের অধীনে অংশগ্রণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এই নির্বাচনের ফল প্রত্যাখান করে পুন:নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে।
বহস্প্রতিবার নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ হবে। এর পরই টানা তৃতীয় মেয়াদে নতুন সরকার এবং স্বাধীনতার পর চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও এর শরিক দল নিয়ে গঠিত মহাজোট।
এরই মধ্যে মন্ত্রীসভায় নতুন মুখ কে আসছেন, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। একেক সময় একেক কথা বললেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করেন নি বর্তমান অর্থমন্ত্রী মুহিত। তার আসনে সিলেট-১ থেকে ছোট ভাই সাবেক কূটনীতিক এ কে এম মোমেন আওয়মী লীগ থেকে জয়ী হন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ট্যাকনোক্রেট হিসেবে আমি মন্ত্রী থাকতেই পারি। সেই সুযোগতো রয়েছে।
নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, ভোট ভালো হয়েছে। উন্নত দেশে ৪০ শতাংশ ভোট পড়লেই তারা খুশি হন। কিন্তু আমাদের দেশে সাধারণত ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভোট হলে ভালো নির্বাচন ধরা হয়। তবে এবার ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। এর কারণ হলো- জনগণ জেনে গেছে শেখ হাসিনা ছাড়া উন্নয়ন হবে না। তাই এ নির্বাচনে জনগণ বেশি ভোট দিয়েছে।