আইনে থাকলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ইসি
দণ্ডিত আসামি হয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের ব্যাপারে আইনের মধ্যে যদি কিছু থাকে, তাহলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম।
একজন দণ্ডিত আসামি হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দলের মনোনয়নপত্রের তালিকা যাচাই-বাছাই করতে পারেন কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি কমিশনার বলেন, ‘আপনারা বলেছেন, আমরা শুনেছি। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো কিছু মনিটরিংয়ে নিজস্ব ক্যাপাসিটি নাই। যদি কেউ তথ্য-প্রমাণসহ আমাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন তাহলে আমরা আইনের মধ্যে যদি কিছু থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বলব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর যদি আইনের ভেতর কিছু না থাকে তাহলে আমরা নিজেরা বসে কী করতে পারি, সেটা পর্যালোচনা করে দেখে তারপর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’
তারেক রহমান যদি দেশে থাকতেন তাহলে তিনি ভিডিও কনফারেন্স করতে পারতেন কিনা? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ইসি কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যদি কেউ দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হন, তাহলে অবশ্যই তাকে জেলে বা পলাতক থাকার কথা। কেউ জেলে থাকলে এ ধরনের কাজ করার কথা নয়। জেল থেকে যদি উনি জামিনে আসতেন, তাহলে করলে কোনো অসুবিধা ছিল না। কিন্তু ক্ষেত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আইনের কাভারেজে কতটুকু কী আছে সেগুলো দেখে আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’
এর আগে সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দণ্ডিত হওয়া সত্ত্বেও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার বিষয়ে আমি জাতির কাছে বলতে এখন পারি, একজন দণ্ডিত পলাতক আসামি এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারে কিনা?
মন্ত্রী নির্বাচন কমিশনের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আরও বলেন, দুটি মামলায় দণ্ডিত পলাতক এ রকম কেউ এভাবে ভিডিও কনফারেন্স করে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে কিনা- আমি সেটি নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাইছি।
ওবায়দুল কাদেরের এসব বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ইসি কমিশনার রফিকুল বলেন, ‘যদি কেউ তথ্য-প্রমাণসহ আমাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন, তাহলে পরে আমরা আইনের মধ্য থেকে যদি কিছু থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বলব।’
এদিকে ওবায়দুল কাদেরের এসব অভিযোগের বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিষয়।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন নিজেই আচরণবিধি ভঙ্গ করছে।