আজকালের মধ্যেই খাসোগি হত্যাকারীদের নাম জানাবে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার বলেছেন, তার প্রশাসন থেকে আগামী দুই এক দিনের মধ্যেই সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
‘খাসোগিকে কারা হত্যা করেছে’ সেটাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হবে, বলেন ট্রাম্প।
গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে খাসোগিকে হত্যা করে একদল সৌদি এজেন্ট। সৌদি আরব প্রথমে এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবে জড়িত নেই বলে দাবি করে। তবে আন্তর্জাতিক চাপের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর স্বীকার করে কনস্যুলেটের ভেতরেই হত্যা করা হয়েছে খাসোগিকে।
এরপর কয়েক বার সৌদি আরব বিবৃতি পাল্টেছে। প্রথমে ভুলক্রমে খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করলেও, আন্তর্জাতিক মহল তা প্রত্যাখ্যান করে।
ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে খাসোগি তার আগের বিয়ের তালাকের কাগজপত্র আনতে গিয়েছিলেন। এ সময় কনস্যুলেটের বাইরে তার বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিজের কাছে নিজের ফোনটি রেখে যান। তিনি ফিরে না এলে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এক উপদেষ্টাকে ফোন করার নির্দেশও হাতিসকে দিয়ে যান খাসোগি।
ওইদিন মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষার পর হাতিস তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেন।
এই ঘটনায় সৌদি আরবের পাঁচজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ১৮ জনকে।
সৌদির ঘাতক দল খাসোগিকে কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যা করেছে এই বিষয়ে একমত তুরস্ক ও সৌদি আরব। কিন্তু এই হত্যা পূর্বপরিকল্পিত ছিল কিনা সে বিষয়ে তারা একমত নয়, জানায় কাতারের আলজাজিরা।
গত সপ্তাহে সৌদির এক প্রসিকিউটর জানান, এই হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে রিয়াদ।
ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর শালান আল-শালান আরও জানান, যুবরাজ সালমানকে এই হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়নি।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতি উদ্ধৃত করে কাতারের আলজাজিরা জানায়, মার্কিন সরকার ‘খাসোগি হত্যায় জড়িত সকলকে জবাবদিহি করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ’।
তবে মার্কিন সরকার এই হত্যার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে বলে সম্প্রতি যেসব খবর প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো নাকচ করে দেয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন সরকারের খাসোগির হত্যার বিষয়ে এখনও আরও অনেক প্রশ্নের জবাব জানা বাকি আছে।