আটলান্টায় পিঠা উৎসব মাতালেন তাজ দম্পতি

812

শিকদার মনজিলুর রহমান, আটলান্টা জর্জিয়া:

গত ১৯ জানুয়ারি শনিবার জর্জিয়া সোস্যাল এন্ড কালচারাল অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো শীতকালীন পিঠা উৎসব। স্থানীয় বার্কমার হাই স্কুলে  এ পিঠা উৎসবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন  প্রবাসের নবিখ্যাত গায়ক গায়িকা প্রমী তাজ ও রায়ন তাজ ।

Zabbar-2

এমন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে মুগ্ধ হলেন শিল্পী নিজেও । আর মুগ্ধ করলেন আটলান্টা প্রবাসী সঙ্গীত পিপাষু বাংলাদেশিদেরও। দিনভর অবিরাম টিপ টিপ বৃষ্টির মধ্যেও হাজার দর্শক উপস্থিত হয় পিঠা মেলায় প্রমী তাজ ও রায়ন তাজের গান শোনার জন্যে ।  শিল্পীদ্বয়ের এক এবং দ্বৈত কন্ঠে্র সুরের মুর্ছনায় হারিয়ে যায় আটলান্টা প্রবাসী সঙ্গীত পিপাষু মানুষগুলো। ছেড়ে ঘরমুখো হতে চাইছেন না যেন মানুষগুলো । রাত ১১টায় অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিরতিহীন ভাবে তা চলে  মধ্য রাত পর্যন্ত ।

অনুষ্ঠান উপভোগ করছে অতিথিমন্ডলী

সন্ধ্যে সাড়ে ৬টায় বাংলদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংগঠনের সভাপতি মোহন জাব্বার । সভাপতি মোহন জাব্বার তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে দর্শক শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, অবিরাম বৃষ্টি থাকা সত্ত্বেও যারা আজকে কষ্ট করে এসেছেন তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাই। সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার দেও সবাইকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জর্জিয়া রাজ্যের ষ্ট্রেট সিনেটর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শেখ রহমান চন্দন

অনুষ্ঠান আয়োজকদের সাথে শিল্পী দম্পতি

পিঠা বাংলার একটি অতি পুরনো ঐতিহ্য। নবান্নে, কনকনে শীতে, বসন্ত বাতাসে পিঠা হয়ে উঠেছে আমাদের সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পিঠার ধরন বিভিন্ন,স্বাদেও রয়েছে ভিন্নতা। সেই বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা প্রবাসী বাঙালিদের সমারোহে গতকাল ১৯ জানুয়ারি স্থানীয় বার্কমার হাই স্কুল প্রাঙ্গনে জর্জিয়া সোস্যাল এন্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন উদ্যোগে দেখা গেল শীত মৌসুমের বাহারি রকমের পিঠার মেলা।

উল্লেখযোগ্য পিঠার মধ্যে ছিল, পাটি সাপটা, সূর্যমুখী, ডালপাতা, দুধ খেজুর, ছাচের পিঠা, তেলের পিঠা, ফুল ঝুরি, ডিমের পিঠা, মাছ পিঠাসহ বহু পিঠা।

পিঠার ষ্টলের সাথে বাড়তি চা-বিস্কুট, ঝাল চানাচুর, শাড়ি-চুড়ি , শাওলোয়ার কামিজসহ নানা ধরণের মনোহরি ষ্টলও ছিল অনুষ্ঠান স্থলে ।

অনুষ্ঠান সহযোগীতায় ছিলেন উত্তম দে,  নেহাল মাহমুদ, শেখ জামাল, শহিদুল ইসলাম ঠান্ডু, আবু নাসের মিলন, নুরুল তালুকদার নাহিদ, মিনহাজুল ইসলাম বাদল, আবুল হাসেম, ইলিয়াস হাসান, কায়েদুজ্জামান, সাগর চক্রবর্তী, সৈয়দ কামরান, রতন দাস, আবুল হাসান, হাসান খাঁনসহ আরো অনেকে।

IMG_4937অনুষ্ঠান শেষে একটি র‍্যাফেল ড্রও অনুষ্ঠিত হয় । র‍্যাফেলের প্রথম পুরস্কার ছিল একটি ৫৫ ইঞ্চি এলজি ইউএইচডি টিভি । টিভিটি স্পন্সার করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রহমান আজাদ । পুরস্কারটি জিতে নেন জর্জিয়া প্রবাসী জনৈজ হুমায়ূন আহমেদ । এছাড়াও ছিল ল্যাপটপ, রাইস কুকারসহ আরো ১৩টি আকর্ষনীয় পুরস্কার ।

সমগ্র অনুষ্ঠাটি উপস্থপনায় ছিলেন ভাস্কর চন্দ ও রাশেদ চৌধুরী ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.