আত্মসমর্পণের পর কারাগারে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা

461
ঘুষ গ্রহণ ও দুর্নীতির মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট অ্যালায়েন্সের (বিএনএ) সভাপতি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

 

hida-bg20190106142353

রোববার ঢাকার বিশেষ জজ-২ এর বিচারক এএসএম রুহুল আমিনের আদালতে আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন নাজমুল হুদা। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

একই সঙ্গে অসুস্থ মর্মে নাজমুল হুদাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। নাজমুল হুদার ডিভিশনের আবেদন করলে আদালত তাও মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২১ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম ধানমন্ডি থানায় হুদা দম্পতির বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।

সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘খবরের অন্তরালে’র জন্য ব্যবসায়ী মীর জাহের হোসেনের কাছ থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

মামলাটির বিচার শেষে ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ ২০০৭ সালের ২৭ অগাস্ট নাজমুল হুদাকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং আড়াই কোটি টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেন। রায়ে তার স্ত্রী সিগমা হুদার তিন বছরের দণ্ড দেওয়া হয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে হুদা দম্পতি আপিল করলে ২০১১ সালের ২০ মার্চ হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন। খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক আপিল করলে আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের খালাসের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেনে।

হাইকোর্ট পুনঃশুনানি শেষে গত বছর ৮ নভেম্বর নাজমুল হুদার সাত বছরের সাজা কমিয়ে চার বছর এবং সিগমা হুদার ৩ বছরের সাজা কমিয়ে মামলাটিতে যতদিন কারাভোগ করেছেন তা কারাদণ্ড হিসেবে রায় দেন। ওই রায় গত ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ পায়।

রায়ে নিন্ম আদালতে আদেশ পৌঁছানোর ৪৫ দিনের মধ্যে নাজমুল হুদাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২২ নভেম্বর নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের নথি হাইকোর্ট থেকে ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজের বিচারিক আদালতে পৌঁছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.