আধুনিক ই-লার্নিংয়ের জনক
ড. বদরুল হুদা খানকে বলা হয় আধুনিক ই-লার্নিংয়ের জনক। ই-লার্নিং নিয়ে তাঁর লেখা বই বিশ্বের ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য। যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা হলেও কাজের সূত্রে চষে বেড়ান সারা দুনিয়া। তেমনি এক ঝটিকা সফরে নভেম্বরে ঢাকায় এলে দেখা করতে গিয়েছিলেন মুহম্মদ খান।
বাইরে থেকে আর দশটা ব্যাটারি গাড়ির সঙ্গে জ্ঞানবাহনের তেমন একটা পার্থক্য চোখে পড়ে না। সাধারণ ব্যাটারি গাড়িতে সবাই যেভাবে যাতায়াত করে, এই জ্ঞানবাহনও সেভাবেই যাত্রী পরিবহন করে। পার্থক্য হলো, এই বাহনে যাতায়াত করতে করতে শেখাও যায়। তিন চাকার এসব গাড়িতে যুক্ত আছে আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের প্রয়োজনীয় উপকরণ। রয়েছে কম্পিউটার, প্রজেক্টর, ওয়েবক্যাম, সাউন্ড সিস্টেম। বাহনটির ভেতরটাকে অনেকটি ঘরের কাঠামো দেওয়া হয়েছে। দেয়ালে জ্ঞানবাহনের স্লোগান ও শিক্ষাপদ্ধতির ডায়াগ্রাম। শেখানো হয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, হাতের কাজ, সাধারণ আইনসহ জীবনঘনিষ্ঠ বিভিন্ন বিষয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে ন্যূনতম শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন ড. বদরুল হুদা খান। এ ধরনের একেকটি জ্ঞানবাহন তৈরিতে খরচ হবে সাত লাখ টাকার মতো।
জ্ঞানবাহনের চাকা ঘোরাতে আছেন জ্ঞানবাহক। তিনি এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে বাহনটিকে নিয়ে যান। সঙ্গে থাকেন একজন জ্ঞানবন্ধু। জ্ঞানবাহনে কোথায়, কবে, কিভাবে ও কী ধরনের জ্ঞান দেওয়া হবে তার সময়সূচি বা ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করাই তাঁর কাজ। গ্রামের মানুষের প্রয়োজন জেনে আগেভাগেই এই পাঠ্যসূচি ঠিক করেন তিনি। শেখানোর জন্য মাঝেমধ্যে এই দলে যুক্ত হন একজন জ্ঞান বিশেষজ্ঞ। তাঁকে ডিগ্রিধারী হতে হবে এমন কোনো কথা নেই, নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষ জানাশোনা থাকলেই বিশেষজ্ঞ হয়ে অন্যদের শেখাতে পারবেন।
সপ্তাহে পাঁচ দিন যাত্রী পরিবহন করে জ্ঞানবাহন। নির্দিষ্ট সময়ে শিশুদের বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়াও একটি কাজ। যাত্রাকালীন বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক ভিডিও দেখার পাশাপাশি শিক্ষামূলক গেইমও খেলতে পারবে শিশুরা।
সাধারণ যাত্রী পরিবহন করে আর্থিক উপার্জনও করবে জ্ঞানবাহন। পাঁচ দিনের যাত্রী পরিবহনকালে এই আরোহীদের সঙ্গে জ্ঞান ভাগাভাগি করবে। অন্য দুই দিন কোনো হাটে, স্কুলের মাঠে বা গ্রামের কোনো উঠানে চলে যাবে গাড়ি। সেখানে কম্পিউটার, প্রজেক্টরে দেওয়া হবে জীবনঘনিষ্ঠ বাস্তব শিক্ষা। এসব আয়োজনে বাড়তি সহায়ক হিসেবে মাঝেমধ্যে উপস্থিত হবেন বিশেষজ্ঞ ও সুপরিচিতরা।
সাধারণ ব্যাটারি গাড়িতে সবাই যেভাবে যাতায়াত করে, এই জ্ঞানবাহনও সেভাবেই যাত্রী পরিবহন করে। পার্থক্য হলো, এই বাহনে যাতায়াত করতে করতে শেখাও যায়।
সপ্তাহে পাঁচ দিন যাত্রী পরিবহনে যে অর্থ আসবে, তাতে জ্ঞানবাহক ও জ্ঞানবন্ধুর বেতন হবে। এই আয় থেকেই মেটানো হবে ই-ভ্যান ও এর যন্ত্রপাতির পরিচর্যার ব্যয়। এভাবে জ্ঞানবাহন নিজেই নিজের টিকে থাকা নিশ্চিত করবে। প্রতিটি জ্ঞানবাহনের একটি আঞ্চলিক এলাকা থাকবে। একটি অঞ্চল বা গ্রামে একাধিক বাহনও থাকতে পারে।
২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর কলকাতার মোহরকুঞ্জে নিউ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রথম চালু হয় জ্ঞানবাহন। বদরুল হুদা খান এই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এরপর কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরে ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল চালু হয় একটি জ্ঞানবাহন। বাংলাদেশে এই উদ্যোগের অর্থায়ন করছে ইভ ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশনেরও চেয়ারম্যান তিনি।
২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর দেশের দ্বিতীয় অঞ্চল হিসেবে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারীর ফতেহপুরে চালু করা হয় আরেকটি বাহন। সারা দেশেই এটা চালু করতে চান তিনি।
নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ কয়েকটি দেশে চালুর পথে বলে জানালেন ড. হুদা। তবে তাঁর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন, টেক্সাস, ইন্ডিয়ানা প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই অধ্যাপক যে এ মাটিরই সন্তান। আলাপে আলাপে জানালেন, রবীন্দ্রনাথ ও নেতাজি সুভাষ বসুর স্নেহধন্য তাঁর বাবা লোকমান খান শেরওয়ানি ছিলেন ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামী। মা শবনম খানম শেরওয়ানি ছিলেন গায়িকা।
১৯৮১ সালের ৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান বদরুল হুদা, ‘যুক্তরাষ্ট্রে থালাবাসন ধুয়ে পড়ালেখা করেছি। দেশের একটি টাকাও নষ্ট করিনি। পায়ের হাড় ভেঙে গিয়েছিল একবার, টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারিনি। আমার আজকের অবস্থান কোনো রাজনৈতিক সুপারিশে নয়, দেশের টাকায়ও নয়। আমার মেধা, শ্রম, অধ্যবসায় দিয়ে অর্জন করেছি।’
২.
অনেক দিন থেকেই বাংলাদেশে আরেকটা কাজ করতে চাইছেন ড. খান—ভাচুর্য়াল বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৪ সালে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাকসেস টু ইনফরমেশনের ই-লার্নিংবিষয়ক এক সেমিনারে রিসোর্স পারসন হিসেবে বাংলাদেশে আসেন তিনি। সেখানে আলোচনায় আসে ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা। এরপর বাংলাদেশের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক সেমিনারেও আবার প্রসঙ্গটি তোলেন তিনি, ‘উপাচার্যদের প্রায় সবাই নীতিগতভাবে দেশে এ ধরনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় চালুর বিষয়ে একমত হয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনও ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছিল।’
জানতে চাইলাম, এখন তা কত দূর? দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, ‘হবে হয়তো একদিন। হাল ছাড়ছি না।’ তিনি বলে চলেন, ‘আমার প্রস্তাবে আরো ১৪ বছর আগে ২০০৪ সালে দুবাইয়ে ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। হামদান বিন মোহাম্মেদ স্মার্ট ইউনিভার্সিটি নামের সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌশলগত ই-লার্নিং পরিকল্পনাও আমার করা। সেখানে সম্পূর্ণ শিক্ষাপদ্ধতি পরিচালিত হচ্ছে ই-লার্নিংয়ে। বদরুল হুদার উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রে ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ম্যাকওয়েডন। এই ম্যাকওয়েডন এডুকেশন থেকে বিশ্বে বেশ কিছু প্রগ্রাম চালু আছে। ম্যাকওয়েডন বিশ্ববিদ্যালয়ও চালুর জন্য প্রস্তুত। অনুমতি পেলে দেশের প্রথম ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়টিও আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করতে পারে। যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সারা পৃথিবীতে ই-লার্নিং পাঠদান পরিচালিত হবে। তবে অপেক্ষাটা মনে হচ্ছে আরেকটু দীর্ঘ হবে। আশা করি, একসময় চালু হবে।’ আর এখন ড. খানের কথা শুনে মনে হচ্ছে, তার আগেই ইরাকে চালু হয়ে যাবে এই ধরনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়, ‘২০১৮ সালের নভেম্বরে বাগদাদে গিয়ে ইরাকে ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয় করার বিষয়ে গাইডলাইন দিয়েছি। আশা করছি, এটি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। সেখানে এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভাবা হচ্ছে।’
ই-লার্নিং নিয়ে ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত তাঁর এই বইয়ের মূল ইংরেজি সংস্করণ ‘ওয়েব-বেইসড ইনস্ট্রাকশন’ বিশ্বের ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক ও রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অনুবাদ করা হয়েছে ২০টি ভাষায়। ১৫ বছর আগেই বইটি বাংলায় অনূদিত হতে পারত বলে মনে করেন তিনি। কিন্তু কেউ কোনো আগ্রহ দেখায়নি। অবশেষে ‘ই-লার্নিং : উন্মুক্ত এবং বিভাজিত শিখন পরিবেশ’ নামে বইটি ২০১৬ সালের মার্চে প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প। বইটি বাংলাদেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পাঠকদের উপযোগী করে অনুবাদ করা হয়েছে। এটুআইয়ের নীতিমালা বিভাগের উপদেষ্টা আনীর চৌধুরীর নেতৃত্বে দেশের প্রথিতযশা বেশ কয়েকজন শিক্ষাবিদ বইটি অনুবাদ করছেন। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক জায়গাতেই বইটি এখন প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-লার্নিং সার্টিফিকেশন প্রগ্রামে এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি। এতে আরো বেশি শিক্ষার্থী মূল ধারার পাঠ নিতে পারবে। খরচ কম হবে অথচ মান থাকবে ঠিক।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেকেই ই-লার্নিং বলতে ইন্টারনেটে শিক্ষাপদ্ধতি বোঝে। কথাটি পুরোপুরি ঠিক নয়। রেডিও, টেলিভিশন, মোবাইল, সিডিরমসহ যেকোনো প্রযুক্তিপণ্যের মাধ্যমেই ই-লার্নিং হতে পারে।’
ই-লার্নিং মূলত নিজে শেখা। এ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীর সহপাঠীর বদলে নিজের সঙ্গে নিজের শেখার প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে ই-লার্নিংয়ের পার্থক্য এখানেই। এ ছাড়া আরেকটি বড় পার্থক্য হচ্ছে, ই-লার্নিংয়ে যেকোনো সময় বিশ্বের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যভাণ্ডার থেকে তথ্য সংগ্রহ করা যায়। হালনাগাদ এসব তথ্য পড়াশোনার মান উন্নত করে। শিক্ষাকে করে আনন্দময়।
‘ই-লার্নিং ফ্রেমওয়ার্ক’ এমন একটি পরিপূর্ণ শিক্ষাপদ্ধতি, যেখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষা উপকরণ, শিক্ষার মাধ্যম, সর্বজনীনতা, গ্রহণযোগ্যতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নৈতিকতাসহ সামগ্রিক বিষয়ের সমন্বয় হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এ ফ্রেমওয়ার্ককে ভিত্তি করেই বিভিন্ন দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ই-লার্নিং শিক্ষা এগিয়ে নিচ্ছে। তিনি আরো বললেন, অল্প কয়েকজন শিক্ষার্থীর জন্য আলাদা শিক্ষক দিয়ে পাঠদান দিন দিন ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। অথচ ই-লার্নিং সাশ্রয়ী। এতে ছাপাখানার বই, ক্লাসরুম ও অন্যান্য অবকাঠামোর প্রয়োজনই হয় না।
কমনওয়েলথভুক্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্যও ই-লার্নিংয়ে পৃথক পরিকল্পনা দিয়েছেন এ শিক্ষাবিদ। ন্যাটো ই-লার্নিং ফোরামও তাঁর ফ্রেমওয়ার্ক ধরেই কাজ করছে। এটির পরামর্শকও তিনি। মিসরীয় ই-লার্নিং ইউনিভার্সিটি কাউন্সিলের অনারারি অধ্যাপক, শিক্ষায় প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা বিশ্বখ্যাত অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির (এইসিটি) সাবেক এ সভাপতি ভার্চুয়াল এডুকেশনে হোয়াইট হাউস অফিস অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি পলিসির (ওএসটিপি) একজন পরামর্শকও। ই-লার্নিং শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এডিবি, ইউএস ফেডারেল ডিপার্টমেন্ট, শিক্ষা দপ্তরসহ বিভিন্ন বহুজাতিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন।
ড. বদরুল হুদা খানের পর্যবেক্ষণ, যেসব প্রযুক্তির মাধ্যমে ই-লার্নিং পদ্ধতি কাজ করবে সেসব ব্যবহারে অনেক এগিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষের হাতে এখন ল্যাপটপ, ট্যাবলেট কম্পিউটার ইত্যাদি পৌঁছে গেছে। ইন্টারনেট অবকাঠামো উন্নত হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকাতেও ইন্টারনেটের ব্যবস্থা হয়েছে।
স্মার্টফোনেও বাংলাদেশে একধরনের বিপ্লব হয়ে গেছে। থ্রিজি তো আছেই, ফোরজি প্রযুক্তিও সম্প্রসারিত হচ্ছে। অনেকেই এতে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এই ডিভাইসও এখন ই-লার্নিংয়ের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে। ই-লার্নিং কাঠামোনির্ভর কনটেন্ট ও সিস্টেম চালু করা গেলে আধুনিক এ শিক্ষা কার্যক্রমে বিশ্বকে চমকে দিতে পারে বাংলাদেশ।
এখনই সময় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ই-লার্নিংকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদি টেকসই পরিকল্পনা নেওয়া। প্রয়োজন জাতীয় ভার্চুয়াল নীতিমালা। এসব জায়গায় যোগ্য মানুষকে দায়িত্ব দিতে হবে, যারা বিষয়টি বুঝবে।
এর মধ্যে ২০১৭ সালে দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ই-লার্নিং চালুর উদ্যোগ নিয়েছিলেন ড. বদরুল হুদা খান। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যাকউইডেন এডুকেশনের অধীনে প্রথম পর্যায়ে পাঁচটি বিষয়ে মোবাইল ই-লার্নিং শুরু করার পরিকল্পনা ছিল। এগুলো হচ্ছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, সাইবার নিরাপত্তা, গ্র্যান্ট রাইটিং, সামাজিক উন্নয়ন সাংবাদিকতা এবং ইংরেজি কথোপকথন। কর্মসংস্থানভিত্তিক আরো বিভিন্ন বিষয়ের প্রশিক্ষণ যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা ছিল। উদ্যোগটি এখন থেমে আছে। এটি আরো গুছিয়ে ব্যাপক পরিসরে নিয়ে আসার পরিকল্পনা বদরুল হুদা খানের আছে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ