আবুল হোসেনকে দুদকের আনুষ্ঠানিক দায়মুক্তি
পদ্মা সেতুর টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়মুক্তি পেয়েছেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে আনুষ্ঠানিক এই দায়মুক্তি দেয়া হয়। দুদক সূত্র এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রে জানা গেছে, এর আগে আবুল হোসেনকে দায়মুক্তি দেয়া হলেও তিনি চিঠি পাননি। ফলে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে নতুন করে দায়মুক্তির চিঠি ইস্যু করা হয়৷
আবুল হোসেনের দায়মুক্তির ওই চিঠিতে সই করেছেন দুদক সচিব ড. শামসুল আরেফিন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে উল্লেখিত অভিযোগ অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত তথ্য ও রেকর্ডপত্রের আলোকে প্রমাণিত হয়নি বিধায় তা দুদক কর্তৃক পরিসমাপ্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে৷
২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আদালতে উপস্থাপনযোগ্য যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত না পাওয়ায় পদ্মা সেতু দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মামলা থেকে সাত আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (এফআরটি) দিয়েছিল দুদক। আদালতে উপস্থাপনযোগ্য যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনের মহাপরিচালকের কাছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মীর্জা জাহিদুল আলম জমা দিয়েছিলেন।
জানা যায়, দুদকের সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিক চিঠি চেয়ে ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর আবেদন করে সৈয়দ আবুল হোসেন।
এর আগে পদ্মা সেতুর টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ঘুষ, দুর্নীতির অভিযোগ তোলে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক। পরে দুর্নীতি সংক্রান্ত ওই অভিযোগের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে দুদক তা আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে।
আর এই অভিযোগটি ২০১১ সালে দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-১ (মানিলন্ডারিং) শাখা থেকে অনুসন্ধান করা হয়। যার নথি নং- দুদক/বি: অনু; ও তদন্ত -১/মানিলন্ডারিং/৪৯-২০১১/।
এর পাশাপাশি পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরো একটি অনুসন্ধান সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে চলমান থাকায় সেখান থেকে প্রায় একই সময়ে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। যার আনুষ্ঠানিক চিঠি এখন দেওয়া হলো।