আমেরিকার লস এঞ্জেলস সিটিতে প্রথম বারের মত বিপুল ভোটে নির্বাচিত ৩ জন কমিশনারঃ এ বিজয় সকল প্রবাসী বাংলাদেশীর
জাহিদ রহমান, ওয়াশিংটন ডিসি
গত ৫ মে বৃহস্পতিবার আমেরিকার লস এঞ্জেলস সিটি নির্বাচনে প্রথমবারের মতো বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন ৩ বাংলাদেশী। এর মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন। নির্বাচিত হবার পর তারা এ বিজয়কে বাংলাদেশী কমিউনিটির বিজয় আখ্যায়িত করে বলেন, “এ বিজয় আমাদের সকলের, সকল অভিবাসীর। এ বিজয়ে আমেরিকার লোকাল রাজনীতিতে চলার পথ সুগম হবে।” সাব ডিসট্রিক্ট-২, সাব ডিসট্রিক্ট-৩ ও সাব ডিসট্রিক্ট-৫ থেকে নির্বাচিত কমিশনাররা হলেন যথাক্রমে, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, নতুন প্রজন্মের উদীয়মান নেত্রী জেরীন ইসলাম ও সাংবাদিক আহমেদ ফয়সাল(তুহীন)।
সাব ডিসট্রিক্ট-২ নির্বাচিত প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রী শেষ করেন ১৯৮৩ সালে।
তিনি ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস এঞ্জেলেসের বিভিন্ন সোশ্যাল ও চ্যারিটি অর্গানাইজেশনের সাথে জড়িত এবং কমিউনিটির যেকোন ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন।
নতুন প্রজন্মের উদীয়মান নেত্রী ও ‘গিভিং হেল্প’ চ্যারিটি অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জেরীন ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন সাব ডিসট্রিক্ট-৩ থেকে। পেশাগত জীবনে তিনি একজন রিয়েলটর, ট্যাক্স, ইমিগ্রেশন ও কমিউনিটি।
ব্যাচেলর করেছেন ইউনিভার্সিটি অব নর্থরিজ (C.SUN) থেকে মার্কেটিং এবং ইকোনমিকস’এ।
ছাত্রজীবন থেকেই সমাজকল্যাণ, মানবাধিকার ও মাদক বিরোধী সংগঠনে নের্তৃস্থানীয় পর্যায়ে যুক্ত থেকে সমাজ উন্নয়নে মৌলিক ভূমিকা পালন করে আসছেন সাংবাদিক আহমেদ ফয়সাল(তুহীন)। নির্বাচন করেছেন কোরিয়ান এবং হিস্পানিক অধ্যুষিত সাব ডিসট্রিক্ট-5 থেকে।
তিনি হিউম্যান রাইটস, সোশ্যাল, চ্যারিটি এবং রিলিজিয়াস অর্গানাইজেশনের সাথে জড়িত। আহমেদ ফয়সাল তিনি ১৯৯৫ সালে বরিশাল বি.এম কলেজ থেকে মাস্টার্স করেছেন। তিনি ঝালকাঠী জেলার নলছিটি উপজেলার মুখিয়া গ্রামের মাস্টার এ.কে মনসুর আহমেদ ও ফাতেমা মনসুরের একমাত্র পুত্র। আহমেদ ফয়সাল লস এঞ্জেলেসের ‘ক্যোহেংগা ইলিমেন্টারি স্কুল কমিটির ভাইস চেয়ার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় কমিশনাররা, দেশ ও প্রবাসের সকল বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।