আমেরিকার লস এঞ্জেলেসে সিটি নেইবারহুড কাউন্সিল ইলেকশনে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়েছেন ৩ বাংলাদেশী
জাহিদ রহমান, ওয়াশিংটন ডিসি
আমেরিকার লস এঞ্জেলেসের সিটি নেইবারহুড কাউন্সিল ইলেকশনে প্রথম বারের মত ‘রেসিড্যন্ট রিপ্রেজেনট্যটিভ’ ক্যান্ডিডেট হয়েছেন তিন বাংলাদেশী আমেরিকান। আগামীকাল ৫ই মে বিকাল ৩টা থেকে রাত্রি ৮টা পর্যন্ত অনুষ্টিত হবে এই নেইবারহুড কাউন্সিল ইলেকশন। নেইবরহুড কাউন্সিলের ৫টি সাব-ডিসট্রিক্ট’-এর তিনটিতে ‘রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনট্যাটিভ’ প্রার্থী হয়েছেন যথাক্রমে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, নতুন প্রজন্মের উদীয়মান নেত্রী জেরীন ইসলাম এবং সাংবাদিক আহমেদ ফয়সাল।
সাংবাদিক আহমেদ ফয়সাল (তুহীন) নির্বাচন করছেন কোরিয়ান এবং হিস্পানিক অধ্যুষিত সাব ডিসট্রিক্ট-5 থেকে। প্রবাস জীবনের শুরু থেকেই তিনি কমিউনিটির বিভিন্ন ইস্যুতে জোরালো ভূমিকা রেখে চলেছেন।
তিনি হিউম্যান রাইটস, সোশ্যাল, চ্যারিটি এবং রিলিজিয়াস অর্গানাইজেশনের সাথে জড়িত। আহমেদ ফয়সাল ছাত্রজীবন থেকেই সমাজকল্যাণ, মানবাধিকার ও মাদক বিরোধী সংগঠনে নের্তৃস্থানীয় পর্যায়ে যুক্ত থেকে সমাজ উন্নয়নে মৌলিক ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে বরিশাল বি.এম কলেজ থেকে মাস্টার্স করেছেন। প্রায় এক যুগ ধরে তিনি স্বপরিবারে লস এঞ্জেলেসে বসবাস করছেন। আহমেদ ফয়সাল ঝালকাঠী জেলার নলছিটি উপজেলার মুখিয়া গ্রামের মাস্টার এ.কে মনসুর আহমেদ ও ফাতেমা মনসুরের একমাত্র পুত্র। তিনি লস এঞ্জেলেসের ‘ক্যোহেংগা ইলিমেন্টারি স্কুল কমিটির ভাইস চেয়ার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
জেরীন ইসলাম, পেশাগত জীবনে তিনি একজন রিয়েলটর, ট্যাক্স, ইমিগ্রেশন ও কমিউনিটি। ব্যাচেলর করেছেন ইউনিভার্সিটি অব নর্থরিজ (C.SUN) থেকে মার্কেটিং এবং ইকোনমিকস’এ। সাব ডিসট্রিক্ট-3 থেকে নির্বাচন করছেন নতুন প্রজন্মের এ উদীয়মান নেত্রী।
জেরীন ইসলাম শৈশব থেকেই আমেরিকাতে বসবাস করে আসছেন।তিনি উদীয়মান কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব সিটি পুলিশ পারমিট রিভিউ প্যানেল কমিশনার মারুফ ইসলামের সহধর্মিণী। তার জন্মস্থান বাংলাদেশের সিলেটের বিয়ানীবাজারে। তিনি ‘গিভিং হেল্প’ নামক চ্যারিটি অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। জেরীন ইসলাম দুইজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যাদের একজন গত দুই টার্ম (চার বছর) বোর্ড মেম্বার নির্বাচিত হয়ে আসছেন।
প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রী শেষ করে ১৯৮৩ পা রাখেন যুক্তরাষ্ট্রে।
গত ৩৩ বছর ধরে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস এঞ্জেলেসে বসবাসরত মোহাম্মাদ শহিদুল ইসলাম বিভিন্ন সোশ্যাল ও চ্যারিটি অর্গানাইজেশনের সাথে জড়িত এবং কমিউনিটির যেকোন ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। এবারের ইলেকশনে সাবডিসট্রিক্ট-2 থেকে তারই এক প্রতিবেশিনী হোয়াইট আমেরিকানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি।
লস এঞ্জেলেসের সিটি নেইবারহুড কাউন্সিল ইলেকশনে এই তিন বাংলাদেশী আমেরিকায় বসবাসরত সকল বাংলাদেশী প্রবাসী, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশিদের তাদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। আগামীকালের নির্বাচনে তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে কমিউনিটির বিভিন্ন ইস্যুতে জোরালো ভূমিকা রাখতে সহযোগিতা করার আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।