আমেরিকায় নির্বাচন :২০১৬, ডেমোক্রেটিক কনভেনশনে মিশেল ওবামা:

569

কেঁদেই ফেললাম। চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না…!!!

“When they go low, we go high.” Great motto for life :’First Lady Michelle Obama’

[MELANIA Trump is taking GOOD NOTES for her next speech!! (LOL)]

Amazing rally amazing! Michelle Obama Fervently Endorses Hillary Clinton During DNC Convention Speech.

অসাধরণ, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন সাবেক ফার্স্ট লেডি ও সেক্রেটারি অব স্টেট ‘হিলারী ক্লিন্টন’। বর্তমান ফার্স্ট লেডি ‘মিশেল ওবামা’র বক্তব্য তার জয়কে আরো সহজ করে দিলো। এমনটিই মনে হচ্ছে।

13652537_1058592060844411_2040719794_n

Heart touching and speechless speech of First Lady Michelle Obama. She made a history to her future endorsement from Hillary. She looks very much pretty/smart and charming personality. Proud of you Madam First Lady.

Michelle Obama Fervently Endorses Hillary Clinton During Convention Speech. First lady makes case for Democratic Party unity, praises Clinton’s ‘guts’ and ‘grace’

I watch her speech on DNC Convention live as well, also i saw it repeatedly several time. I cried like a new born baby. When she said how can handle her white house life! When she said, she is able to now wake up in morning a house wives. She take care and assists her staff of house and her children. As a first lady this woman (Michelle Obama) in convention she makes every american proud as well as around the world people, who watch the Convention of DNC. So proud in so many ways. But most of all, she makes me proud as im south Asian, now live in this great country of USA-New York. What a great speech? Wow! let’s see Mrs. Trump Melania steal her speech from 2008!!

She touched my hearts, not only mine, i believe she touched many hearts. She gave whole american nation to think for 4 and 8 years of every american children.

আমেরিকান ইতিহাসে প্রথম কৃষাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ওত্থানের পেছনেও মিশেল’ ওবামার চেষ্টা, সহযোগিতা, মেধা এবং যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এরকম মেধাবি ফার্স্ট লেডি আর পাওয়া যাবে কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে।

সোমবার ২৫ জুলাই, ২০১৬। ডেমোক্রেট কনভেশনের উদ্বোধনীতে হিলারীর (প্রাইমারী) প্রতিদ্বন্দ্বী সিনেটের বার্নি স্যান্ডারস, সিনেটর কোরি বুকার, সিনেটের এলিজাবেথ ওয়ারেন’র বক্তব্য মাটি হয়ে গেছে ফার্স্ট লেডির বক্তব্যের কাছে।

First Lady Michelle Obama on Monday made the case for Democratic Party unity and delivered an impassioned endorsement of Hillary Clinton to be her husband’s successor in a speech at the Democratic National Convention.

“This election, and every election, is about who will have the power to shape our children for the next four or eight years of our lives,” Mrs. Obama told a cheering audience. “I am here tonight because in this election, there is only one person whom I trust with that responsibility, only one person who I believe is truly qualified to be president of the United States, and that is our friend Hillary Clinton.”

আনুষ্ঠানিক ভাবে হিলারী ক্লিন্টনকে সমর্থন জানাতে এসে ফিলাডেলফিয়ার ‘ডিএনসি’ কনভেনশনের প্রথম দিনের সমাপনি বক্তব্য (মিশেল ওবামার) আবারো ইতিহাস হয়ে থাকবে। যেমনি ভাবে ২০০৮ সালের স্বামী বারাক ওবামার জন্য দিয়েছিলেন। কোন স্ক্রিপ্ট ছাড়াই এক নাগাড়ে এরকম অসাধারণ এবং হৃদয় ছোঁড়া বক্তব্য একবার নয়, প্রায় ১৫ মিনিটের বক্তব্য সরাসরি শোনার পাশাপাশি আরো একাধিকবার শুনেছি। তবুও মনে হচ্ছে মন ভরছে না। আবারো শুনতে ইচ্ছে হয়। একেই বলার লিডারশীপ! অথচ এই মিশেলের ২০০৮’র বক্তব্য হুবহু নকল করেন ট্রাম্প পন্থি সাবেক মডেল মেলানিয়া ট্রাম্প।

পুরো বক্তব্য জুড়ে ঘৃণা নয়, সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশকে কি ভাবে এগিয়ে নেয়া যায় তা তুলে ধরেছেন মিশেল। তিনি বলেন, আমি নই; আমার মেয়েদের আগামীর সম্ভাব্য কালো ভদ্র মহিলা হিসেবে দেখতে চাই। একই সাথে তিনি বলেন, কেবল কালো নয়, সব বর্ণের নারীই আগামীতে দেশ গড়ার অংশীদার হবেন। যার অনুপ্রেরণা হচ্ছে আমার দীর্ঘদিনের সহকর্মী/বন্ধু হিলারী ক্লিন্টন। একই সাথে হিলারীর মেধা/যোগ্যতা ও সমাজ সেবা এবং রাজনীতির অভিজ্ঞতার ভূয়শী প্রশংসাও করেন মিশেল।

যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য হিলারি ক্লিনটনই একমাত্র যোগ্য প্রার্থী। মিশেল তার গোছানো বক্তব্য এবং হৃদয়ের আবেগ দিয়ে হিলারিকে সমর্থন করেছেন। এসমেয় কনভেনশনে উপস্থিত হাজারো সমর্থক ও ডেমোক্রেটিক শীর্ষ নেতারাও প্রাণভরে তার বক্তব্য গিলতে থাকেন। কখনো আবেগাপ্লুত/কখনো উচ্চস্বরে শ্লোগান; যা ছিল এক কথা অসাধরণ।

‘ইউএস কমান্ডার ইন চিফ’ আমেরিকান প্রেসিডেন্টের যোগ্যতা সম্পর্কে মিশেল বলেন, যার হাতের নিউক্লিয়ারের বাটনের ক্ষমতা কেবল মাত্র একটি (পিঙ্গার প্রিন্ট) আঙুলের ছাপের মধ্যে সীমাবদ্ধ; যার হাতে আমেরিকান গর্বিত মিলিটারি ও প্রতিরক্ষা ফোর্সের ক্ষমতা থাকবে, সে যদি শুরুতেই ঘৃণা দিয়ে রাজনীতি করে তাহলে দেশের মানুষ এবং দেশ কি ভাবে নিরাপদ থাকবে। নাম না উল্লেখ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিই ইঙ্গিত করেন মিশেল।

ফার্স্ট লেডি বলেন, আগামী নভেম্বরের নির্বাচন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই কে বাম, কে ডান, কে সাদা, কে কালো; সেটা বড় বিষয় নয়। বড় বিষয় হচ্ছে আমরা সবাই ভোট দিতে যাবো। প্রতিটি দরজায় দরজায় নক করবো। আমাদের গর্বিত প্রেসিডেন্ট হিলারী নির্বাচিত করবো। জানান, আসছে/২০১৬’র নির্বাচনে, আমি দায়িত্ব নিয়ে হিলারীর ওপর এই আস্থা রাখছি। যে তিনি এমনই একজন প্রার্থী; যিনি সত্যিকার অর্থে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য। তিনি আমাদের বন্ধু হিলারি ক্লিনটন।’ মিশেল বলেন, ‘এই নির্বাচনে আমি তাঁর (হিলারি) সঙ্গে আছি।’

ওবামা প্রশাসনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারির প্রশংসা করেন মিশেল। তিনি তাঁকে দক্ষ ও শক্তিমান রাজনীতিবিদ হিসেবে বর্ণনা করেন। হিলারীর সাহসি ও যোগ্য নেতৃত্বের প্রসংশার পাশাপাশি শ্রদ্ধা নিবেদনও করেন। এসমেয়ে কনভেনশনে উপস্থিত সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন দলীয় বাছাইপর্বে হিলারির প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যার্ন্ডার্স। হিলারিকে জয়ী করতে ডেমোক্র্যাটদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভারমন্টের এই সিনেটর। তিনি বলেন, হিলারি অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন।

ডিএনসির কনভেনশনের দ্বিতীয় দিন বুধবার সম্মেলনে ভাষণ দেবেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।(_শিবলী চৌধুরী কায়েস_)

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.