‘ইন্টারনেটের গতি কমানোর সিদ্ধান্ত নির্বাচনকে বিতর্কিত করবে’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে ইন্টারনেটের গতি কমানোর সিদ্ধান্ত নির্বাচনকে বিতর্কিত করবে বলে মনে করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। বুধবার বিকেলে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ একথা বলেন।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করবে নির্বাচন কমিশন এটাই জাতি প্রত্যাশা করে। কিন্তু আজ জানতে পারলাম নির্বাচনের দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি কমানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আমরা এর তীব্র বিরোধীতা করছি, কারণ যেখানে আজ ঘরে বসেই সকল তথ্য ও খবরা খবর পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, এবার জাতীয় নির্বাচনে সারা বিশ্বের চোখ থাকবে বাংলাদেশের উপর। ইতোমধ্যে অনেক দেশই জানিয়ে দিয়েছে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সরাসরি আসছে না। তারা প্রযুক্তির মাধ্যমেই সকল বিষয়ে খোঁজ খবর রাখছেন। যদি ইন্টারনেটের গতি কমানো হয় তাহলে বিশ্ব দুনিয়া বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে খবরা খবর ও তথ্য তাৎক্ষণিক সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হবে।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের উচিত ইন্টারনেটের গতি না কমিয়ে ফেইক ফেইসবুক, টুইটার, হোয়াটস্ আপ, ই-মেইল, স্কাইপি ও ফেইক অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করে দেয়া। যদি তা না করা হয় তাহলে তথ্য সংগ্রহে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে কেউ কেউ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক তুলতেই পারে। বিতর্ক এড়াতে নির্বাচন কমিশনের উচিত প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধণ ও সাইবার ইন্টেলিজেন্সকে ২৪ ঘণ্টা সতর্ক অবস্থায় রাখা।