ইন্টারন্যাশনাল ভার্চুয়াল ক্রেডিট কার্ড চালু করল ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড

539

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ব্যক্তি পর্যায়ের অ্যাপস ডেভেলপার বা প্রোগ্রামারদের অনলাইন পেমেন্টের সুবিধার্থে ইন্টারন্যাশনাল ভার্চুয়াল ক্রেডিট কার্ড চালু করল ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড (ডিবিবিএল)। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বেসিস ও ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই কার্ড সেবা চালু করা হয়। বেসিস সভাপতি শামীম আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে.এস. তাবরেজসহ বেসিসের কার্যনির্বাহী কমিটি নেতৃবৃন্দ ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে বেসিস সভাপতি শামীম আহসান বলেন, এই কার্ড চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বেসিসের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো। বিভিন্ন ধরনের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) অনলাইন বাজারে ছাড়ার জন্য বিশ্বখ্যাত অ্যাপ স্টোরে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে নিবন্ধিত হতে হয়। এছাড়া অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কোর্স, বুটক্যাম্প কিংবা ডোমেইন কেনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেমের প্রয়োজন হয়। এ অর্থ দেওয়ার সুবিধা না থাকায় বাংলাদেশের ব্যক্তি পর্যায়ের অ্যাপস নির্মাতা বা প্রোগ্রামাররা অনেকেই নানা সমস্যার মধ্যে ছিলেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংককে ভার্চুয়াল কার্ড চালুর নির্দেশনা দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারন্যাশনাল ভার্চুয়াল ক্রেডিট কার্ড চালু করেছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক। ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ বলেন, দেশের ৮০ ভাগ এটিএম কার্ডধারী ডিবিবিএল বুথ ব্যবহার করেন। ভার্চুয়াল কার্ডের মাধ্যমেও আমরা গ্রাহকের সে আস্থা ধরে রাখতে চাই।

অ্যাপস ডেভেলপার বা প্রোগ্রামার, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ফ্রিল্যান্সার ও শিক্ষার্থীদের জন্য এই সেবা চালু করেছে ডাচ বাংলা ব্যাংক। কার্ড প্রাপ্তির আবেদনের জন্য অ্যাপস ডেভেলপার বা প্রোগ্রামার, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ফ্রিল্যান্সারদের বেসিস থেকে অনুমোদন নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে আবেদনের সঙ্গে কার্ড ব্যবহারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। সঙ্গে যুক্ত করতে হবে পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি। ডাচ বাংলা ব্যাংকের যে কোন শাখায় এই কার্ডের আবেদন করা যাবে।

বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে (উইন্ডোজ, অ্যানড্রয়েড, আইওএস, ব্ল্যাকবেরি, ফায়ারফক্স ইত্যাদি), গেমস, সফটওয়ার লাইসেন্স, মোবাইল বা গেমস অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, ভেন্ডার সার্টিফিকেশন পরীক্ষার ফি, ডোমেইন নিবন্ধন, হোস্টিং বা ক্লাউড সেবা, হ্যাকাথন, ভিসা প্রসেসিংসহ এধরণের যে কোন কাজে এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে। প্রাথমিকভাবে একটি ভার্চুয়াল কার্ডের মেয়াদ পাঁচ বছর দেয়া হবে।

তবে একটি ভার্চুয়াল কার্ডে বছরে ৩০০ ডলার অর্থ পরিশোধ করা যাবে। এর বেশি ব্যবহার করতে চাইলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে ব্যবহার সীমা বৃদ্ধির আবেদন করতে হবে। এছাড়া এই কার্ড থেকে শুধু ডলার পরিশোধ করা যাবে। কোন ধরনের পেমেন্ট গ্রহণ করা যাবে না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.