ইসরাইল একটা ক্যান্সারের টিউমার: রুহানি
পশ্চিমা দেশগুলো মধ্যপ্রাচ্যে তাদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ‘ক্যান্সারের টিউমারের’ মতো ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। ইরানের নেতারা প্রায়ই ইসরাইলের সমালোচনা করে এটির পতনের ভবিষ্যৎবানী করলেও রুহানি খুব কমই তীব্র ভাষায় দেশটিকে আক্রমণ করেন, জানায় কাতারের সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
শনিবার ইসলামিক ইউনিটি কনফারেন্সে বক্তব্য দেয়ার সময় রুহানি বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অশুভ ফলাফলগুলোর একটি হচ্ছে এই অঞ্চলে একটা ক্যান্সারের ফোঁড়া তৈরি করা।’ ইসরাইল পশ্চিমাদের সৃষ্টি একটা ‘নকল রাষ্ট্র’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াইরত হিজবুল্লাহ ও হামাস দলগুলোকে ইরান সমর্থন দিয়ে আসছে।
ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বাতিল করার পর ওয়াশিংটন অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ ছাড়াও ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের হুমকি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণ চালালে ইরানও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাবে বলে পাল্টা হুমকি দিয়েছে। ইসরাইল ইরানকে তাদের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে
সৌদি আরব ও তাদের সুন্নি আরব মিত্রদের ইঙ্গিত করে রুহানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে রক্ষা করার জন্য ‘আঞ্চলিক মুসলিম দেশগুলোর’ সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছে।
তিনি বলেন যুক্তরাষ্ট্রের চাপের প্রতি নতি স্বীকার করা ‘বিশ্বাসঘাতকতার’ সামিল।
‘আমাদের জন্য দু’টি বিকল্প রয়েছে, অপরাধীদের লাল গালিচা সম্বর্ধনা দেয়া, অথবা অন্যায়ের প্রতিবাদ করা,’ বলেন রুহানি।
নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর পুনরায় অর্থনৈতিক অবরোধ করে এর তেল-গ্যাস রপ্তানি ব্যাঙ্কিং খাতকে একঘরে করে দিয়েছে।
ইরান ‘সন্ত্রাসবাদ ও পরাশক্তিগুলোর’ হাত থেকে সৌদি আরবকেও রক্ষা করতে প্রস্তুত, একথাও বলেন রুহানি।
‘আমরা তোমাদেরকে ভাই মনে করি। আমরা মক্কা মদিনার মানুষকে আমাদের ভাই মনে করি,’ যোগ করেন তিনি।
তিন বছর আগে ইরানের সঙ্গে সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। প্রখ্যাত শিয়া মুসলিম নেতা নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর ইরানে অবস্থিত সৌদি কূটনৈতিক কার্যালয়ে বিক্ষোভকারীরা হামলা চালালে সৌদি এই পদক্ষেপ নেয়।
ইয়েমেন ও সিরিয়ায় যুদ্ধে একে অপরের বিরোধী দলগুলোকে সমর্থন দিচ্ছে ইরান ও সৌদি আরব।