ইসিতে পুলিশ নিয়ে কথা বলার ব্যাখ্যা দিলেন ড. কামাল
২৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাজধানীর আগাঁরগাওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সাথে বৈঠকের সময় পুলিশকে নিয়ে মন্তব্য করার ব্যাখ্যা দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। বুধবার মতিঝিলে নিজ চেম্বারে বসে এ সম্পর্কে ড. কামাল বলেন, ‘আমার মন্তব্যকে যদি নেতিবাচক ভাবে দেখা হয়, তবে ওই অর্থে কিছুই বলি নাই। পুলিশ মানুষের মতো করে ভূমিকা রাখবে এটা আমরা সবাই আশা করি। ইনফ্যাক্ট আমি যখন সংবিধান লিখি তখন পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পুলিশ ছাড়া একটা সাংবিধানিক শাসন কখনওই চলতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘পুলিশকে আমি খুব মূল্য দেই, তারা শক্ত ভূমিকা রাখবে তাই আমরা আশা করি। আমার এমন কোনো বক্তৃতা পাবেন না যেখানে আমি পুলিশের প্রশংসা করিনি। পুলিশের যে ইতিহাস ও ঐতিহ্য আমরা ধরে নিচ্ছি তারা সংবিধানের পক্ষে কাজ করবে।’
বুধবার কামাল হোসেনের চেম্বারে গিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তারা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা আমার নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বিগ্ন। যারা এসেছিল তারা বলেছেন, যদি আমার নিরাপত্তার প্রয়োজন হয়, তাহলে যেন তাদের জানাই। এছাড়া আর কিছু বলেন নাই। ডিএমপি কমিশনার সাহেবের আসার কথা ছিল, উনি আসতে পারেননি বলে আমাকে ফোন দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একটি কাজে আটকে যাওয়ার কারণে উনি আসতে পারেননি।’
নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ঐক্যফন্টের শীর্ষ এ নেতা বলেন, ‘আপনারা তো দেখতেই পাচ্ছেন নির্বাচনের পরিস্থিতি, আমাদের প্রার্থী এবং নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। ধরপাকড় অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এমন চিত্র এর আগে কোনোদিন দেখিনি, শুনিওনি। আমরা সবসময় বলি, দাবি করি এবং সংবিধানেও আছে যে, দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়ার কথা। এটা নিশ্চিত করা রাষ্ট্র এবং সরকারের দায়িত্ব। আমরা সব সময় তাদের এটা স্মরণ করিয়ে দেব। কিন্তু সরকারের কার্যকলাপ দেখে আমরা তাদের ওপর ভরসা পাচ্ছি না।’
নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক মেনে নেবেন কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ‘সেটা পরিস্থিতি বুঝে উত্তর দেয়া যাবে। হাইপোথেটিক্যাল প্রশ্নের উত্তর এখন দিতে পারব না।’
উল্লেখ্য মঙ্গলবার সিইসির সাথে বৈঠকের সময় কামাল হোসেন বলেছিলেন, কোনো কোনো পুলিশ সদস্য লাঠিয়াল -জানোয়ারের মতো আচরণ করছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সিইস নুরুল হুদা।