উন্নয়ন-শান্তির পথে তরুণদের ভোট দেয়ার আহ্বান
‘তারুণ্যের প্রথম ভোট উন্নয়নের স্বার্থে হোক, শান্তির পক্ষে হোক’ এই স্লোগান সামনে রেখে উদ্বোধন করা হয়েছে হ্যাশট্যাগ ‘iambangladesh’। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উন্নয়নের স্বার্থে শান্তির পক্ষে তরুণদের ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সফল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
তারা বলেছেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন। যার যার জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। তরুণদের সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে হবে। নিজের ভোট নিজেকেই দিতে হবে।
সোমবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই হ্যাশট্যাগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিসহ সামাজিক সংগঠন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাশেম খান, এমসিসিআই সভাপতি নিহাদ কবির, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, গাজী টেলিভিশন ও সারাবাংলা ডট নেটের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, চিত্রনায়ক ফেরদৌসসহ আরও অনেকেই। এ সময় তরুণদের করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানে সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, সিঙ্গাপুর যেমন লিকুয়া, মালয়েশিয়া যেমন মাহাথির মোহাম্মদ এবং জাপান যেমন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে, তেমনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিয়ন্ত্রিত দুর্নীতির দেশ গড়ে তুলতে হবে। তরুণদের নিজের বিবেক-বিবেচনা দিয়ে সত্যের পথে ভোট দিতে হবে।
সাকিব আল হাসান বলেন, সব সময়ই কিছু পক্ষ ও বিপক্ষ থাকবে। কিন্তু দিনশেষে দেখা যাবে বোধ দিয়ে, চিন্তা দিয়ে মনুষ ঠিক কাজই করবে। সব বিষয়ে আপনাদের পারদর্শী হতে হবে না। যার যার জায়গা থেকে সেরাটাই করতে হবে। তরুণরা শুধু চাকরির জন্য ঘুরবে না। এমন কিছু করবে যাতে সে নিজেই হাজার হাজার মানুষকে চাকরি দিতে পারবে।
তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।
ফেরদৌস বলেন, সঙ্গীত উৎসবে যেমন মাইলের পর মাইল লাইন দিয়ে তরুণদের ঢুকতে দেখা যায়, ভোটের দিনও তেমনি সকাল সকাল তরুণদের ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে। আপনার একটা ভোট অত্যন্ত মূল্যবান। দেশের জন্য স্বাধীনতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক জায়গায় ভোট দেয়ার পরই পেতে পারবেন কেমন বাংলদেশ দেখতে চান।
আতিকুল ইসলাম বলেন, এমন বাংলাদেশ চাই যেদিন নির্বাচন হবে কিন্তু কেউ টেরই পাবে না। সব কিছুই স্বাভাবিকভাবে চলবে। আমরা শান্তির পক্ষে। উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তরুণদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, সাংবাদিকদের সবসময়ই প্রতিকূল পরিবেশে সংগ্রাম করে কাজ করতে হয়। সেখানে কোনো আইন দিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বন্ধ করা যাবে না। সাংবাদিকরা তাদের কাজ করে যাবেই।
নিহাদ কবির বলেন, তরুণদের শুধু পাঁচ বছর পরপর ভোট দিয়ে দায়িত্ব শেষ করলে হবে না। তাদের পার্টটাইম নাগরিক হলে চলবে না, ইনগেইজ নাগরিক হতে হবে। তাহলেই তাদের কাঙ্ক্ষিত চাওয়া পূরণ হবে।