এবার থার্টিফার্স্টে উদযাপন ‘নিষিদ্ধ’
নির্বাচনের কারণে এবার ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম প্রহরে সব ধরনের উদযাপন নিষিদ্ধ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার সচিবালয়ে বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেন, ‘ভোটের তারিখ ও থার্টিফার্স্ট নাইট কাছাকাছি সময়ে হওয়ায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশের কোথাও আঁতশবাজি, পটকা বা এ জাতীয় কোনো কিছু ফোটানো যাবে না। থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সব ধরনের অনুষ্ঠান করার বিষয়ে আমরা নিরুৎসাহিত করছি। উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদেও কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন। এজন্য এ বছর আমরা বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নিয়ে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেশে মোট ৭৫টি চার্চ রয়েছে। এর মধ্যে চারটি উল্লেখযোগ্যসহ দেশের সবগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। প্রতিটি চার্চে সিটি টিভির ব্যবস্থা থাকবে।’
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘ইলেকশন কেন্দ্রিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকায় এ বছর থার্টিফার্স্ট নাইটে কোনো বার খোলা থাকবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্টিকার ছাড়া কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘থার্টিফার্স্ট উপলক্ষে ডিজে পার্টি করা যাবে না। কারণ, ডিজে পার্টি উপলক্ষে কোনো স্থানে জমায়েত করা যাবে না। হোটেলগুলোর বৈধ পার্কিংয়ের বাইরে কোনো পার্কিং করা যাবে না। পর্যটন এলাকায় সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।’
নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ৫ লাখ আনসার
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ৫ লাখ আনসারসহ দেশের সব আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত ফোর্স তৈরি করা হচ্ছে।
তিবি বলেন, ‘আপনারা যেটা বলেছেন, ৬০ লাখ আনসার সেটা নয়, নির্বাচনের জন্য ৫ লাখ আনসার সদস্য তৈরি হচ্ছে। তারা যার যে ট্রেনিং লাগে, সেটা নিচ্ছেন। পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ সবাই নির্বাচনের জন্য তৈরি আছেন।’
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যেভাবে নির্দেশ দেবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেভাবেই কাজ করবে। আমি মনে করি, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী অনেক অভিজ্ঞ এবং তারা নিরপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সক্ষম।’
নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা দিয়েছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে সব সময় নির্বাচন কমিশন যোগাযোগ রেখেছে, নির্দেশনা আসছে। সেগুলো তারা চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে করছে।’