এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু আগামীকাল
আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবারের পরীক্ষায় ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৮ লাখ ৪২ হাজার ৯৩৩ জন ছাত্র এবং ৮ লাখ ৮ হাজার ৫৯০ জন ছাত্রী। তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি হতে শুরু হয়ে ৮ মার্চ শেষ হবে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ৯ মার্চ হতে শুরু হয়ে ১৪ মার্চ শেষ হবে। গতকাল শনিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার এসএসসি পরীক্ষায় প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে ১০ মিনিট বিরতি থাকবে। এবারের পরীক্ষায় বাংলা ২য় পত্র এবং ইংরেজি ১ম ও ২য়পত্র ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর হতে গণিত ও উচ্চতর গণিত বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়া গত বছর হতে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা নামে একটি নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে অটিস্টিক এবং ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রালপালসি আক্রান্ত পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় এবং পরীক্ষার কক্ষে তার অভিভাবক/শিক্ষক/সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের বেশি নম্বর দেওয়ার কোনো নির্দেশনা নেই। পরীক্ষার ফল দেওয়ার সময় বলা হয় আমরা শিক্ষকদের বেশি নম্বর দেওয়ার জন্য বলেছি। কিন্তু আমরা এটা করি না। খাতা যাতে সঠিকভাবে দেখা হয় এটা আমরা বলি। পরীক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যার যা প্রাপ্য তাকে তাই দেবেন। সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়ন করে ফলাফল দেবেন। এতে সংখ্যা বাড়ল না কমল তাতে আমাদের কোনো চাপ নেই।