ওয়াশিংটনডিসিতে বর্ণমালার সাংস্কৃতিক উৎসবের নামে তামাশা: পারিবারিক অনুষ্ঠানে পরিণত
নিজস্ব প্রতিবেদকঃবর্নমালা স্কুলের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা, লাগামহীন চাঁদাবাজির বিষয়টি কমিউনিটির অনেকের কাছে এখন পরিস্কার। ৮০ হাজার ডলারের বিশাল বাজেট ও দুই দিনের অনুষ্ঠান নিয়ে শুরু থেকে বিতর্কের ঝড় ওঠে। অনুষ্ঠান শেষে কমিউনিটিতে বিরুপ প্রতিক্রয়ার সৃস্টি হয়েছে।
সবার কাছে বিশাল ও জাকজমক অনুষ্ঠান হবে-এমনটি প্রচার করা হলেও বাস্তবে এরকম ফ্লপ বা বাজে আয়োজন কখনো হয়নি। নির্ধারিত সময়ে দর্শক উপস্থিত না হওয়ায় আয়োজকরা প্রথম হোঁচট খায়। বেশ বিলম্বে অনুষ্ঠান শুরু হলেও গ্যালারিতে দর্শক ছিলো হাতে গোনা। অনুষ্ঠানের আগে আয়োজকরা প্রচার করে, বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় শিল্পি গান পরিবেশন করবেন। কিন্তু সেই সব শিল্পীদের কাউকেই দেখা যায়নি।
যে অল্প কয়েকজন দর্শক এসেছিলেন, হতাশ হয়ে তাদেরও অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে যেতে দেখা গেছে। হাতে গোনা যে ৬০/৭০ জন উপস্থিত ছিলো তাদের প্রায় সবাই আয়োজক ও তাদের পরিবারের সদস্য। অর্থাৎ অনুষ্ঠানটি অবশেষে পরিণত হয় একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানের এমন বেহাল ও নাজুক অবস্থা দেখে কেউ কেউ ক্ষোভের সাথে বলেন, মিথ্যা প্রচারণা, কেন বিশাল বাজেট তাহলে কি বর্ণমালা চাঁদাবাজী এবং মানব পাচার করার জন্য এটা করেছে ?
অনুষ্ঠানে আগত এক বাংলাদেশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমেরিকায় দীর্ঘ প্রবাস জীবনে তিনি এত কম দর্শক দেখেননি। অনুষ্ঠানের এক পরযায়ে একজন দর্শক আয়োজক সেলিমকে অন্য শিল্পী আসেনি কেন প্রশ্ন করলে তিনি তার সদউত্তর না দিয়ে উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং উপস্থিত সবার সামনে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। দেশ হতে আগত শিল্পী আব্দুল লতিফ উপস্থিত দর্শক দেখে হতাশা প্রকাশ করেন। আগত অতিথিদের অনেককেই বলতে সোনা যায়, তাহলে কি বর্ণমালা শিল্পী না নিয়ে এসে মানব পাচার করেছে ?