ওয়াশিংটনডিসির বর্ণমালা স্কুলের উৎসবকে কেন্দ্র করে লাগামহীন চাঁদাবাজীর অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃওয়াশিংটনডিসির বর্ণমালা স্কুলের সাংস্কৃতিক উৎসবকে কেন্দ্র করে লাগামহীন চাঁদাবাজীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি এ আয়োজন নিয়ে নানা রকম মিথ্যাচার ও প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ পাওয়ায় কমিউনিটির অনেকে বিরুপ মন্তব্য করেছেন।
বাংলাদেশী কমিউনিটির অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, অনুষ্ঠানের জন্য ৮০ হাজার ডলারের বিশাল বাজেট নিয়ে। তারা বলেন, ওয়াশিংটনডিসিতে ফোবানা ছাড়া এত বিশাল বাজেটের প্রোগ্রাম কখনো কেউ করেনি। ফোবানা সবার কাছে গ্রহনযোগ্য। কারন ফোবানা ব্যক্তিগত সংগঠন নয়, আমেরিকার সব স্টেট হতে প্রতিনিধি নিয়ে ফোবানা গঠিত। সেখানে বর্ণমালা ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সংগঠন।গানের স্কুলের দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।কমিউনিটির অভিযোগ, গ্রেটার ওয়াশিংটনডিসির অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ অনেকের কাছে প্রোগ্রামের জন্য চাঁদা চাওয়া হয়েছে। এমন নগ্নভাবে ওয়াশিংটনডিসিতে আগে কেউ চাঁদাবাজী করেনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ি জানান, এ অনুষ্ঠানের জন্য তার কাছে শিল্পী খরচ বাবদ মোটা অংকের টাকা দাবী করা হয়। তবে তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান।
অনেকে অভিযোগ করেন, আয়োজকরা সবার কাছে বলে বেড়াচ্ছে, তারা সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান লাইভ
সম্প্রচার করবে। এ বিষয়ে আরটিভির সিইও আশিক সাহেবের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ সংক্রান্ত কোন চুক্তি তাদের সাথে হয়নি। নিউইয়র্কে আরটিভির প্রতিনিধি জানান, বর্ণমালার সাথে তাদের কোন চুক্তি হয়নি। এ ধরনের মিথ্যা প্রচারনায় বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।
অপরদিকে, ওয়াশিংটনডিসিতে সাধারণত যে কোন প্রোগ্রামে দোকান প্রতি একশ থেকে দেড়শ ডলার ভাড়া নেয়া হয়। সেখানে ওয়াশিংটনডিসির সবার পরিচিত ঝাল মুড়ি মামা (রাজুর) কাছে ২০০০ ডলার দাবী করা হয়েছে। বর্ণমালার সেলিম, রাজুকে কথা দিয়ে পরে বেশি টাকা দাবি করায় রাজু বিস্ময় প্রকাশ করেন। রাজু গ্রেটার ওয়াশিংটনডিসি যুবলীগের সহ সভাপতি। তিনি বলেন, বর্ণমালা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে ব্যবসা শুরু করেছে।তিনি মানব পাচারের আশঙ্কা করছেন যা বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য লজ্জাজনক । সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে যাতে কেউ চাঁদাবাজি করতে না পারে সে জন্য কমিউনিটির সবাইকে সজাগ থাকারও অনুরোধ জানান তিনি।