ওয়াশিংটনডিসিতে বাগডিসি’র আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

748

এ্যন্থনী পিউস গোমেজ,ওয়াশিংটনডিসি:গত ৩১শে মার্চ, শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের  ভার্জিনিয়ায় নোভা এনানডেল ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি’র আয়োজনে  বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহনে অত্যন্ত সফলভাবে  অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশের  “ স্বাধীনতা দিবস” “। 29683989_10156456871468738_1882136307184754466_n অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াশিংটন ডিসি’তে নিযুক্ত বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রদূত জনাব মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মূলধারার কর্মকর্তাবৃন্দ-  চেয়ার, আরলিংটন কাউন্টি বোর্ড অব সুপারভাইজারস কেটি ক্রিস্টল, হাউজ ডেলিগেট ভিভিয়ান ওয়াটস,29683833_10156456871463738_2989209729198738538_n ডিরেক্টর ফর কম্যুনিটি আউটরিচ ডেভ স্টেগমিয়ের, ভার্জিনিয়া সিনেট পদপ্রার্থী জেসমিন মোয়াওয়াড, ফিল্ড ডিরেক্টর ফর কনগ্রেস ক্যান্ডিডেট এলিসন ফ্রিডম্যান হান্নাহ আরিঘী, প্রেসিডেন্ট ফর মুসলিম ক্যকাস অফ আমেরিকা গাজালা সালাম এবং সাবেক হাউজ রিপ্রেজেন্টেটিভ জেমস স্লাটারী। FB_IMG_1523023335839এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের সম্মানিত কর্মকর্তাবৃন্দ- ডেপুটি চীফ অব মিশন জনাব মাহবুব হাসান সালেহ, ইকনমিক মিনিষ্টার জনাব শাহাবুদ্দিন পাটোয়ারী, মিনিষ্টার (কনস্যুলার) জনাব মোঃ শামসুল আলম চৌধুরী, ডিফেন্স এ্যটাচে জনাব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, এওডব্লিউ, পিএসসি,মিনিষ্টার (প্রেস) জনাব শামীম আহমেদ এবং ফার্স্ট সেক্রেটারী, পলিটিক্যাল জনাব মামুন সহ দূতাবাস পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। 29572880_10156456908783738_2842953019388001209_nএছাড়াও যেসব বিশেষ অথিথি এবং গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- তারা হলেন টেক্সাস থেকে আগত ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান গ্রীন মাইক্রো, প্রতিষ্ঠাতা শেয়ারহোল্ডার অব এনারবি ব্যাংক- জনাব আজাদুল হক, ফোবানা ‘উইমেন এ্যম্পাওয়ারমেন্ট কমিটি’র চেয়ারপারসন,‘বাংলাদেশ আমেরিকান উইমেন এসোসিয়েশন অব টেক্সাসে’র সভানেত্রী এবং ‘রেডিও রুপসী বাংলা’র ‘জাগো বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানের আর জে- নাহিদা আলী ডেইজী, জনাব মোস্তাক আহমেদ- বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব, জনাব খন্দকার মনসুর,  ডঃ বুশরা চৌধুরী, আনিস খানসহ স্থানীয় অনেক সামাজিক-সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ।  অনুষ্ঠানের শুরুতেই সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারী মিঃ এ্যন্থনী পিউস গোমেজ এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা সম্পা বণিক আগত অতিথিবৃন্দ এবং শ্রোতাদর্শকদের অনুষ্ঠানে স্বাগতম জানান। 29594591_10156456908913738_1147498434641167899_n
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ফয়সল কাদের ও শতরুপা বড়ুয়া এবং তরুন প্রজন্মের অদৃতা জাহাঙ্গীর ও ফারিহা খালেদ।অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রবাসে বেড়ে উঠা ছোট ছোট ছেলে-মেয়েসহ কিশোর-কিশোরীদের কন্ঠে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। 29597258_10156456893493738_231329969899835885_nপরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং স্বদেশপ্রেমের চিত্র ফুটে উঠে।  অনুষ্ঠানে বাগডিসি, বর্ণমালা শিক্ষাঙ্গন, বাই এবং একতারা পরিবেশিত দেশাত্মবোধক গানের ছোঁয়ায়, নৃত্যের ঝংকারে এবং অনু নাটকের পরিবেশনায় উদ্দীপ্ত হয়ে উঠে সবার মন, শহীদদের স্মৃতির স্মরণে গভীর শ্রদ্ধায় আনত হয় সবার হৃদয়।29665465_10105082218904626_8604823391448288175_oঅনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে দেশাত্ববোধক গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করে   বর্ণমালা শিক্ষাঙ্গনের  শিল্পীরা। বর্ণমালা শিক্ষাঙ্গনের পক্ষে নৃত্য পরিবেশনায় ছিলেনঃ শ্রাবনী, রুপন্তী, অবন্তিকা, নাজিয়া, অর্পিতা,স্মরণী, মাহি, তানিম, আয়না, মাইশা, রাইশা, মেহেক এবং স্বপ্না শর্মা। কোরিওগ্রাফীতে ছিলেন সুমাইয়া আক্তার স্মরণী এবং স্বপ্না শর্মা।29792581_1976017495764736_1630095885561782332_n

অতঃপর স্বাধীনতাভিত্তিক স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে সবাইকে মুগ্ধ করেন ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের ব্রডকাষ্টার এবং সংবাদ বিশ্লেষক জনাব আনিস আহমেদ।এছাড়া ‘একতারা’র শিল্পীদের দেশাত্ববোধক গানের পাশাপাশি নৃত্যের যুগলবন্দী পরিবেশনা ছিল অত্যন্ত চমৎকার এবং শ্রোতাদর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়। একতারা’র পক্ষে অংশগ্রহন  করেনঃ সঙ্গীতে- এস কে মিলন ও অন্তরা বড়ুয়া। কোরিওগ্রাফীতে ছিলেন- মুর্ছনা বড়ুইয়া। সঞ্চালনায় ছিলেন  সারা তানজিন।FB_IMG_1523025496966

বাগডিসি’র ছোট্টমনিদের নিয়ে ‘কলকাকলি’র পরিবেশনা সবার মন কেড়ে নিয়েছিল। যারা এপর্বে অংশ নিয়েছিল, তারা হলঃ  অপসরা, ঐশ্বর্য, অধরা, অবন্তি, মাইশা, মেহেক, অদৃজা, অরিত্রি, ফয়সল খালেদ, মরিয়া এবং মেহেরান। এই পর্বের সঞ্চালনায় ছিল অদৃতা জাহাঙ্গীর এবং ফারিহা খালেদ।23621651_10156456391993738_6980903734214596983_n

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিশেষ অংশ জুড়ে ছিল বাগডিসির পরিবেশনায় “শব্দের যুদ্ধ জয়” এবং এই বিশেষ পর্বটি সাজানো হয়েছিল বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্রের গান ও এম আর আক্তার মুকুলের ‘চরম পত্র’ দিয়ে, যা উৎসর্গ করা হয় সদ্য প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা কাকন বিবি এবং ফেরদৌসী প্রিয়ভাষীনিকে।  অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা, গ্রন্থনা ও পরিচালনায় ছিলেন বাগডিসির সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা সম্পা বণিক।যারা এই বিশেষ পর্বে অংশগ্রহন করেন, তারা হলেনঃ সঙ্গীতে মোহাম্মদ আমিনুর রহমান, অসীম রানা, জুয়েল বড়ুয়া, রবি আলম, নাসের চৌধুরী, মেরিনা রহমান, তনুশ্রী দত্ত, পান্না মুটসুদ্দি, আফরোজা মান্নান এবং সারা লুদমিলা। নৃত্যে ছিলেন- রোকেয়া হাসি, ইরা ইসলাম এবং নাজিয়া নুশাত জাহান। হারমোনিয়ামে ছিলেন নাসের চৌধুরী, তবলায় আশীষ বড়ুয়া, বাঁশীতে মোহাম্মদ মজিদ, গীটারে সেলিম মাহফুজ, মন্দিরায় জয় বড়ুয়া এবং কীবোর্ডে সৌমিক। চড়ম পত্র পাঠে ছিলেন সম্পা বণিক, উপস্থাপনায় জনাব সরকার কবীর উদ্দিন। মঞ্চসজ্জা পরিকল্পনা ও প্রতিকী বেতার যন্ত্র প্রস্তুতিতে ছিলেন জনাব মোহাম্মদ রশীদ, প্রস্তুতি সহযোগিতায় আবু সরকার। প্ল্যাকার্ড প্রস্তুতি এবং মঞ্চ সহযোগিতায় ছিলেন হাসনাত সানি।বাই-এর স্বাধীনতাভিত্তিক ভিন্নধর্মী অনু নাটক, শফি দেলোয়ার কাজলের “বীরাঙ্গনার গল্প গাথা”র  পরিবেশনা ছিল অত্যন্ত প্রানস্পর্শী এবং তা সবার মনের গভীরে ছাপ রেখে যায়। যারা অভিনয় করেছেন, তারা হলেন- খুকী, ছুটি এবং মিজানুর রহমান খান। মিউজিকে ছিলেন জনাব লিঙ্কন।

এছাড়াও বাগডিসি’র পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে ‘আজীবন সম্মাননা’ ও ওয়াশিংটন প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা’ প্রদান করা হয়। যারা এই সম্মাননা পেলেন তারা হলেনঃ

রউফ মোহাম্মদ আব্দুর সরকার, আব্দুল গফুর, তৌহিদুর রহমান, জিয়াউদ্দীন খান ও
কালাচাঁদ সরকার।মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন মাননীয় রাষ্ট্রদূত, জনাব মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং বাগডিসি’র সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর। উত্তরীয় পড়িয়ে দেন জনাব করিম সালাউদ্দিন, নুরুল আমিন নুরু, এ্যন্থনী পিউস গোমেজ, রোক্সানা পারভীন এবং শম্পা বণিক।
আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন ই-লার্নিং-এর উদ্ভাবক ও প্রতিষ্ঠাতা ডঃ বদরুল হুদা খান এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক অবদানের জন্য ‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইঙ্ক’ বা বাই। ‘বাই’-এর পক্ষে সম্মাননা গ্রহন করেন বাই-এর সভাপতি শফি দেলোয়ার কাজল এবং ডঃ বদরুল হুদার পক্ষে সম্মাননা গ্রহন করেন রেদোয়ান চৌধুরী। তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান, জনাব আজাদুল হক এবং বাগডিসি’র সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর।উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মূলধারর যেসব সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ বক্তব্য রাখেন, তারা হলেন- চেয়ার, কাউন্টি বোর্ড অব সুপারভাইজারস কেটি ক্রিস্টল, হাউজ ডেলিগেট ভিভিয়ান ওয়াটস, ডিরেক্টর ফর কম্যুনিটি আউটরিচ ডেভ স্টেগমিয়ের, ভার্জিনিয়া সিনেট পদপ্রার্থী জেসমিন মোয়াওয়াড এবং ফিল্ড ডিরেক্টর হান্নাহ আরিঘী। মূলধারার এই পর্বটি উপস্থাপনা করেন রেদোয়ান চৌধুরী।

অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষন ছিল অতিথি শিল্পী প্রিয়ংবদা ব্যানার্জির মনমাতানো পরিবেশনা । তিনি একের পর এক বিভিন্ন ধারার বাংলা গান পরিবেশন করে উপস্থিত শ্রোতাদর্শকদের মুগ্ধ করেন।

অতঃপর স্বদেশপ্রেমের আবহে একটি চমৎকার অনুষ্ঠান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বাগডিসি’র “স্বাধীনতা দিবস” উদযাপনের সমাপ্তি টানা হয়।অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিল এনটিভি (ইউ এস এ),- বিশেষ ধন্যবাদ জনাব মোহাম্মদ হোসেনকে (সিইও, সাউন্ডভিশন, পরিচালক- এনটিভি এবং এটিএন, ইউএসএ।অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার- রাজীব বড়ূয়া, শাওন রহমান (মোমেন্টস মাল্টিমিডিয়া গ্রুপ)।যেসব স্পন্সরদের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি পরিবেশিত হয়েছে, তারা হলেনঃগ্র্যান্ড স্পন্সর – জাকীর হোসেন,সিইও, ডাটা গ্রুপ, প্ল্যাটিনাম স্পন্সর- রউফ সরকার, ইন্সুরেন্স কোম্পানী, গোল্ড স্পন্সর- কাজী টি ইসলাম, ই এন্ড আর ট্যাক্স সল্যুশন, তৌফিক মতিন- সিইও, কমনওয়লথ মর্টগেজ, আবু বকর হানিপ- সিইও, পিপল এন্ড টেক, মোহাম্মদ হোসেইন- কাবাব কিং,  মোহাম্মদ আলী- অল স্টেট ইন্সুরেন্স, মজিবুল হক- বিএনআই রিয়েল্টি, বোরহান উদ্দিন- হোমটাউন প্রপার্টি, গো-ঢাকা ট্র্যাভেল এজেন্সী।

মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে মেট্টো ওয়াশিংটন এলাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণের জন্য বাগডিসি’র পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলমগীর ও সেক্রেটারি এ্যান্থনী পিউস গোমেজ সকল  অতিথিবৃন্দ, শ্রোতাদর্শক, স্পন্সর এবং সেচ্ছাসেবক কর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.