ওয়াশিংটনে বিরাট আয়োজনে ৩ দিন ব্যাপী আয়োজিত ৩০ তম ফোবানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
নিউজবিডি ইউএসডেস্কঃ ওয়াশিংটনে ব্যাপক এবং বর্ণীল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাঙালির প্রানের মেলা- ৩০তম “ফোবানা সম্মেলন ২০১৬”।
ফোবানা এক্সিকিউটিভ কমিটির সহ যোগিতাসহ ৩০ তম ফোবানা সম্মেলনের আয়োজক কমিটির অসংখ্য মানুষের দীর্ঘ এক বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল ছিল এবারের ফোবানা সম্মেলন। “ফোবানা সম্মেলন” উত্তর আমেরিকায় আয়োজিত বাঙালিদের সবচেয়ে বড় সম্মেলন, যা প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে সমুন্নত রাখার জন্য, বাঙালিদের মাঝে একটি সুন্দর সেতু বন্ধন রচনা করার জন্য, স্বদেশের সাথে প্রবাসের একটি যোগ সূত্র রচনার জন্য এবং আমাদের তরুন প্রজন্মের সম্পৃক্ততা সহ তাদের মাঝে এর প্রচার ও প্রসারের প্রচেষ্টাকে প্রোথিত করার জন্য ফোবানার এই ঐকান্তিক কর্মপ্রয়াস অব্যাহত রেখেছে সুদীর্ঘ ৩০ বছর।
এটা শুধুই একটি প্রচেষ্টা বা প্রয়াস নয়, এটা মূলতঃ স্বদেশপ্রেম এবং স্বদেশী সংস্কৃতির প্রতি গভীর ভালবাসায় উদ্বুদ্ধ হয়ে, নিজের শেকড়ের টানে প্রত্যয়ী পথচলা- প্রবাসের প্রেক্ষাপটে দেশমাতৃকার সেবা করা। তিন দিন ব্যপি আয়োজিত এই মহা মিলন মেলার শুভ উদ্বোধনী করা হয় রোজ শুক্রবার, ২রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ এবং তিন দিন ব্যাপী ব্যাপক আয়োজন শেষে ৪ঠা সেপ্টেম্বর সারা দিনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার পরিবেশনা শেষে এই বিরাট আয়োজনের সমাপ্তি টানা হয়।
৩০তম ফোবানা সম্মেলনের তিন দিন ব্যপী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গনপূর্ত ও গৃয়াহন মন্ত্রী, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানের প্রথম দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে তিন দিন ব্যপী আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অনেক গন্যমান্য সরকারী এবং বেসরকারী কর্মকর্তা, ফোবানা এক্সিকিউটিভ কমিটির কর্মকর্তাবৃন্দ, মূলধারার নেতৃবৃন্দ, ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকার স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠক ও নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সমাজ কর্মী, শিল্পী, সাংবাদিকসহ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিল হাজারো বাঙালি, যাদের উপস্থিতি এবং অংশ গ্রহন ফোবানা সম্মেলনকে ঐশ্বর্য মন্ডিত করেছে।
এছাড়াও তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আর্লিংটন, ভার্জিনিয়ার ১০ম ডিস্ট্রিক্টের রিপ্রেসেন টেটিভ- বারবারা কমস্টক, হোয়াইট হাউসের সাবেক উপদেষ্টা এবং এবছরের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারী ক্লিনটনের মুসলিম আউটরীচ উপদেষ্টা মিঃ ফারুক মিথা, বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য ব্যবসায়ী জনাব কালিপ্রদীপ চৌধুরী, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার এবং ডেপুটি চীফ অব মিসন, জনাব মাহবুব হাসান সালেহ, বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (কনস্যুলার), জনাব শামসুল আমল চৌধুরীসহ আরও বেশ কিছু সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া এই মহাসম্মেলনে বাংলাদেশ, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে যোগ দিয়েছিল সহস্রাধিক বাংলাদেশী, যাদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠেছিল ফোবানার সম্মেলন স্থান পেন্টাগন শেরাটন হোটেল প্রাঙ্গণ, গড়ে উঠেছিল বাঙালির মহা মিলন মেলা- যেন প্রবাসের আঙ্গিনায় এক টুকরো ছোট্ট বাংলাদেশ।
উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে ৫০ টিরও বেশী বাংলাদেশী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহন করেছে এই ফোবানা সম্মেলনে, যা ছিল নজির বিহীন। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য এসেছিলেন বাংলাদেশ ও ভারত থেকে আমন্ত্রিত এবং আগত জনপ্রিয় সব শিল্পী তারকারা, যাদের উপস্থিতি এবং অংশগ্রহনে ফোবানার সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিল বিরাট চমক। হোটেল প্রাঙ্গনে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে যেমনি ছিল উপচে পড়া ভিড়, তেমনি ছিল অসংখ্য শিল্পী ও অংশ গ্রহন কারীদের পরিবেশিত সুন্দর অনুষ্টান মালা। ফোবানার তিন দিন ব্যপী আয়োজিত সম্মেলন জুরে ছিল বহুমাত্রিক চমৎকার একেকটি অনুষ্ঠান মালা- প্রথম বারের মত আয়োজন করা হয়েছিল ‘ফোবানা র্যালী’এবং ‘ইন্টারন্যাশনাল ব্ল্যাক টাই ডিনার’, এছাড়া অনুষ্ঠান মালায় ছিল বিশেষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান- “হাজার বছরের বাঙালি” (ব্যবস্থাপনায় ও সমন্বয়ে দ্রুপদ, পরিকল্পনা,কোরিওগ্রাফী এবং পরিচালনায়- বাংলাদেশের জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী, কোরিওগ্রাফার, নৃত্য পরিচালক ওয়ার্দা রিহাব), বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে আগত সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, বাংলাদেশ ও ভারত থেকে আমন্ত্রিত জনপ্রিয় শিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশনা (কুমার বিশ্বজিৎ, নচিকেতা ঘোষ, শ্রেয়াগুহ ঠাকুরতা,বেবী নাজনীন,ফাহমিদা নবী, অনিমা রায়, প্রিয়ংবদা ব্যানার্জি, এম,এ, শোয়েব, শুভ্রদেব, এস,আই টুটুল, হায়দার হোসেন, অনিমা ডি’কস্তা, কৃষ্ণা তিথি, জানে আলম, তাজুল ইমাম, মাকসুদ, অনুপমা মুক্তি), একক এবং দলীয় নাচ, একক, যুগল ও দলীয় গান, আবৃত্তি, কাব্য জলসা, রবীন্দ্র জলসা, নজরুল জলসা, সাহিত্য আসর, নাটিকা, ফ্যাশনশো, বিজ্ঞানমেলা, ট্যালেন্টশো, গুরুত্বপূর্ন প্রামান্যচিত্র প্রদর্শনী- বাংলাদেশ থেকে আগত স্বনামধন্য প্রামান্যচিত্র নির্মাতা জনাব শাকুর মজিদ-এর প্রামান্যচিত্র (বাংলাদেশের প্রয়াত বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের উপর নির্মিত প্রামান্যচিত্র “সোল অব দা ওয়াটার”) এবং সবার পরিচিত এবং স্বনামধন্য সাংবাদিক ও বেতার ব্যক্তিত্ব, জনাব ইকবাল বাহার চৌধুরী নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র (স্বাধীনতার উপর নির্মিত), বাংলাদেশ থেকে আগত স্বনাম ধন্য চিত্র শিল্পী অভিজিৎ চৌধুরীর একক চিত্র প্রদর্শনী, সমকালীন প্রাসঙ্গিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক-অর্থনৈতিক এবং যুব উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়ন ভাবনার উপড় ভিত্তি করে বিভিন্ন বিষয়ের উপড় সেমিনার, সমকালীন বিষয়ের উপড় স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের রচনা প্রতিযোগিতা, ৩০তম ফোবানা সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রকাশ করা হয় বিশেষ স্মরণীকা, প্রথমবারের মত বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য স্বদেশ এবং প্রবাসে অবস্থানরত বিভিন্ন প্রতিভা ধর ব্যক্তিদের সম্মাননা বা এওয়ার্ড প্রদান করা সহ আরো অনেক আয়োজন।
এবার ফোবানা হোষ্ট কমিটি এওয়ার্ড যারা পেলেন, তারা হলেন- মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিকতায় অবদান রাখার জন্য ভয়েস অব আমেরকার বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার, বাংলাদেশে পরিবেশ প্রতি রক্ষা ও গনসচেতনা বৃদ্ধির জন্য জনাব মুকিত মজুমদার বাবু, সমাজ সেবার জন্য জনাব ওয়াহেদ হোসেইনি, মডার্ন ই-লার্নিং পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য ডঃ বদরুল হুদা খান, বিজ্ঞান ভিত্তিক গবেষনার জন্য ডঃ সৈয়দ আশরাফ আহমেদ, তরুন প্রজন্মের মেধা ও প্রগতিশীল ভূমিকায় বিশেষ কৃতিত্বের জন্য ইনশা ইসলাম, ফোবানার মাধ্যমে উত্তর আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটিতে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রদর্শন ও সমাজ সেবার জন্য ফোবানা এক্সিকিউটিভ কমিটির সাবেক চেয়ারম্যানমিঃ নাহিদ চৌধুরী এবং সাবেক এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী মিঃ আজাদুল হাককে এই বিশেষ সম্মানননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠান মালার বিশাল আয়োজন এবং তাৎপর্য ও বৈচিত্রের দিক থেকে এবারের ফোবানার অনুষ্ঠান মালার আয়োজন ছিল অন বদ্য এবং ভিন্ন আঙ্গিকের, যা সর্বস্তরের মানুষের প্রসংশা কুড়িয়েছে এবং প্রতিদিনের অনুষ্ঠান মালায় অভিভূত ছিল উপস্থিত দর্শকবৃন্দ।
হোটেল প্রাঙ্গনে বিপুল সংখ্যক শ্রোতা-দর্শকের উপস্থিতিতে আনন্দের ধারাবাহিকতার রেশ নিয়েই শুরু হয় ফোবানার প্রতিদিনের সকাল। প্রথম দিনের সমস্ত ক্লান্তি ঝেরে ফেলে দিয়ে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিনে সবাই সকালে উঠে চলে আসে লবি চত্বরে- কিছু সময়ের মধ্যেই বাঙালি আড্ডায়, আলাপচারিতার কলোরবে, সকালের গরম কফির ধোয়ায়,সবার সহভাগিতায় সরগরম হয়ে উঠে লবির আড্ডা আর আনন্দ-উচ্ছাসে আলাপচারিতার মাঝে মাঝে প্রান খোলা হাসির আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ে হোটেলের লবি চত্বরের চার দেয়ালে, প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে আসে- “এটাই বাঙালির প্রানের মেলা”!
এবার প্রথমবারের মত ওয়াশিংটনের সকল সংগঠনের সমন্বয়ে ঐক্যের বন্ধনে একটি মাত্র ফোবানা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়, যা ছিল একটি সফল আয়োজনের প্রতীক এবং ফোবানা সম্মেলনের স্থানীয় প্রেক্ষাপটে ইতিহাস সৃষ্টিকারী ঘটনা। একটি ফোবানা অনুষ্ঠিত হওয়ার সুবাদে শ্রোতা-দর্শকদের সংখ্যা ছিল প্রচুর, আশাতিরিক্ত। তাই সীমিত আসন সংখ্যার জন্য অনেকে টিকেট কেটে ভিতরে ঢুকে অনুষ্ঠান দেখতে না পারায় তাদের মধ্যে অসন্তুষ্টি এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এবিষয়ে সামাজিক যোগা যোগ মাধ্যম এবং কিছু পত্রিকায় রঞ্জিত-অতিরঞ্জিত করে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। মূলতঃ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার সময় এবং পরবর্তীতে এই অনাকাংখিত পরিস্থিতির জন্য আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে শ্রোতা-দর্শকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। এক্ষেত্রে ৩০ তম ফোবানা সম্মেলন আয়োজক কমিটিকে দোষারোপ করাটা অনেকের একমাত্র লক্ষ্য হলেও পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনার ত্রুটি এবং এর দায়ভার মেনে নিয়েই বলতে হয়- বিল্ডিং কোড এবং ফায়ার মার্শালের অনুমতি অগ্রাহ্য করে এর ব্যত্যয় ঘটানোও আয়োজক কমিটির ক্ষমতার বাইরে ছিল এবং এরুপ পরিস্থিতি তাদের কাম্য ছিলনা, কোন আয়োজক কমিটিরই এটা কাম্য হবেনা কোন ফোবানা অনুষ্ঠানে। এই অনাকাংখিত পরিস্থিতির উদাহরণ আমাদের ভবিষ্যৎ আয়োজকদের পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনায় সহায়ক হবে নিঃসন্দেহে।
ফোবানা সম্মেলনের তৃতীয় দিনে পরিকল্পিত বিভিন্ন অনুষ্টানমালার পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় ফোবানা কেন্দ্রীয় কমিটির বাৎসরিক সাধারণ সভা এবং নতুন কার্যকরী পরিষদ গঠন। রুদ্ধদ্বার কক্ষে সারাদিন ব্যাপী এই সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের সাধারণ সভায় আগামী এক বছরের জন্য যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারা হলেনঃ
চেয়ারম্যান— আজাদুল হক
ভাইস চেয়ারম্যান— মোহাম্মদ আলমগীর
এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী — এম মাওলা দিলু
জয়েন্ট এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী— জাকারিয়া চৌধুরী
ট্রেজারার— শাহ হালিম।
ফোবানার নতুন কমিটিতে আউটষ্ট্যান্ডিং মেম্বার হয়েছেনঃ–
নাহিদ চৌধুরী মামুন,
এ টি এম আলম,
নুরুল আমিন নুরু,
জসিম উদ্দিন,
আতিকুর রহমান,
রেহান রেজা ও
ডঃ আহসান চৌধুরী হিরু।
এছাড়া এক্সিকিউটিভ মেম্বার অর্গানাইজেশন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেঃ
বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ সোসাইটি,
বাংলাদেশএসোসিয়েশন অফ ফ্লোরিডা,
বাংলাদেশী আমেরিকান এসোসিয়েশন অফ জর্জিয়া,
বাংলাদেশী এসোসিয়েশন অফ হিউষ্টন,
মিড কন্টিনেন্ট বাংলাদেশ এসোসিয়েশন,
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ আমেরিকা,
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ নিউজার্সি,
বাংলাদেশ কমিউনিটি অফ লসএঞ্জেলস,
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ জর্জিয়া,
বাংলাদেশ এক্সপ্যাট্রিয়েট সোসাইটি অফ টেক্সাস,
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ নর্থ টেক্সাস,
ড্রামা সার্কেল এবং বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ মন্ট্রিয়েল।
ফোবানা সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চা এবং এর প্রচার ও প্রসারের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে উত্তর আমেরিকা প্রবাসী বাঙালিদের মাঝে যোগসূত্র তৈরী করে দিয়ে একটি সেতুবন্ধন রচনা করে দেয়া এবং এই ঐতিহ্যের সাথে আমাদের নতুন প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করে আমাদের আগামী দিনের প্রবাসী নেতৃত্ব গড়ে তোলা, যাতে তারা অগ্রদূত হয়ে আমাদের এই ধারা ভবিষ্যতের পথে অব্যাহত রাখতে পারে। শুধু তাই নয়, এখানকার মূলধারার কাছে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরে বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক পরিবেশে বাংলাদেশের গৌরবময় এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরে ক্রমান্বয়ে মূলধারায় মিশে গিয়ে আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাতে হবে- তথা মূলধারায় ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে হবে। কারণ, এভাবেই সময়ের হাত ধরে বেঁচে থাকবে আমাদের স্বদেশপ্রেম, আমাদের শেকড়ের টান, আমাদের ঐতিহ্য, ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রসার নতুন প্রজন্মের প্রত্যয়ী পদচারনায়। আর এই প্রত্যয়কে সামনে রেখেই ফোবানার পথ চলা। আমরা আশাবাদী আমাদের তরুন প্রজন্ম আগামী দিনে বয়ে নিয়ে যাবে আমাদের গৌরবান্বিত ইতিহাস ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতির ধারা- আগামী সময়ে ফোবানার অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে তাদেরই কর্মপ্রয়াসের পথ ধরে। শুভ হোক ফোবানার এই পথচলা…!!! (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)