কাশ্মীরে পুলিশ কনভয়ে হামলা, নিহত ১৮
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফে) গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলওয়ামা জেলার ওই হামলায় ১৮ ভারতীয় পুলিশ নিহত হয়েছেন বলে খবর দিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার পুলওয়ামা জেলার শ্রীনগর-অনন্তনাগ মহাসড়ক দিয়ে জম্মু থেকে শ্রীনগর যাচ্ছিল সিআরপিএফ’র কনভয়টি। পথে আওয়ানতিপরাতে একটি গাড়িতে আগে থেকে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় হামলাকারীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের গুলি বিনিময়ও হয়।
আহতদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের সেনা সদস্যরা উদ্ধার করে শ্রীনগরের হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
জঙ্গিগোষ্ঠী জইস-ই মোহাম্মেদ এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, ৭০টি গাড়িতে আড়াই হাজারের বেশি সদস্য ছিল। মহাসড়কের গোরিপরা এলাকায় বহরের একটি গাড়ির সঙ্গে হামলাকারীদের গাড়ির সংঘর্ষ হয়। এরপর সেখানে বড় ধরনের বিস্ফোরণ হয়।
ঘটনার বিষয়ে জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ টুইট করেন, ‘উপত্যকা থেকে ভয়ঙ্কর সংবাদ আসছে। আইইডি বেঁধে রাখা গাড়ির বিস্ফোরণে সিআরপিএফের অনেক জওয়ান নিহত ও আহত হয়েছেন। আমি এই হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। আহতদের সুস্থতায় দোয়া এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
এ ছাড়া পিডিপি’র প্রধান মেহবুবা মুফতি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত, কংগ্রেস নেতা রণদীপ সূর্যওয়ালাসহ অনেক রাজনীতিক এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে টুইট করেছেন।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে সেনাক্যাম্পে হামলা করে ১৯ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর এমন বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটল বৃহস্পতিবার।
ওই হামলার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের ভেতরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি করেছিল। যদিও পাকিস্তান সে দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল। পরে এই উরি হামলা ইস্যুতে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি হয়।