কুলিয়ারচরে বিএনপি প্রার্থীর পা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ

111

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে নির্বাচনী সমাবেশ চলাকালে বিএনপি প্রার্থী শরীফুল আলমকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে তার পা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যার পর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের চৌমুরি বাজারে এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিএনপির আরো অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, বুধবার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ শেষে সন্ধ্যায় চৌমুরি বাজারে নির্বাচনি পথসভা করছিলেন শরীফুল আলম। পথসভার চলার শেষ পর্যায়ে তিনি নিজে বক্তৃতা করছিলেন। এসময় পুলিশ ও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একটি মাইক্রোবাসে করে সভার ভেতরে অতর্কিত ঢুকে লাঠিসোটা নিয়ে পিছন থেকে বিএনপি কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালায়। সমাবেশে যোগ দেয়া বিএনপির নেতাকর্মীরা এ সময় কিছুই বুঝতে না পেরে ভয়ে চতুর্দিকে ছুটতে থাকে।

372395_165

কুলিয়ারচর থানার এস আই আজিজুল হক ও এহসানুল হক পুলিশের এই ফাঁকে শরীফুল আলমকে টার্গেট করে মঞ্চের দিকে গিয়ে তার ওপর হকি স্টিক দিয়ে পেটানো শুরু করে। এই দুই পুলিশের বেদম পিটুনির এক পর্যায়ে শরীফুল মাটিতে পড়ে যান। মটিতে ফেলে পিটানোর সময় হকিস্টিকের আঘাতে বিএনপি প্রার্থী শরীফুলের ডান পায়ের গোড়ালি ভেঙে যায়।

শরীফুলকে পিটানোর সময় বিএনপি কর্মিরা তাকে বাঁচাতে এলে আরো ৫০ জনের মত নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ সভা থেকে বিএনপির তিনজন কর্মীকে গ্রেফতার করে।

এ ঘটনায় পুলিশ উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা করে। পরে বুধবার রাতে কুলিয়ারচরে বিভিন্নস্থান থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১০ নেতাকর্মী ও ভৈরব থেকে তিনজন বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে শরীফুল আলম তার নিজ বাড়ি কুলিয়ারচর উপজেলার বেতারকান্দি গ্রামে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।  সাংবাদিক সম্মেলনে শরীফুল আলম আক্রমনকারী ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি ও তাদেরকে কুলিয়ারচর থানা থেকে প্রত্যাহার দাবি করেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে শরীফুল আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাকে নির্বাচনী মাঠ থেকে দূরে সরিয়ে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপন। আমি তার বাবা মরহুম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সাথে নির্বাচন করেছি। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমি স্বাচ্ছন্দবোধ করেছি। ওই সময় আমি শংকিত না হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছি।

এ প্রজন্মের প্রার্থী পাপন এখন প্রশাসন দিয়ে যা করাচ্ছেন আমি শংকিত। আমার আসনে বিএনপির গণজোয়ার দেখে পাপন এখন ভিন্ন পথে হাঁটছেন। আমাকে মেরে ফেরার জন্য, বিনা মাঠে গোল দেয়ার জন্য তিনি উঠে পড়ে লেগেছেন। কিন্তু আমি খালি মাঠে গোল দিতে দেব না। প্রয়োজনে কাফনের কাপড় পড়ে নির্বাচনী মাঠে থাকবো।’

সংবাদ সম্মেলনে কুলিয়ারচর উপজেলা ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.