কেন্দ্রে ছবি তোলায় নিষেধাজ্ঞা, কোর্টে যাবেন ড. কামাল
ভোট কেন্দ্রে ছবি তোলায় নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘এটা একটা নৈতিক ব্যাপার। যে দেশে আইনের শাসন রয়েছে সেখানে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা অপ্রাসঙ্গিক। সবাই একই কথা বলছে, আমিও মনে করি সাংবাদিকদের জন্য এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা উচিত না। এ বিষয়ে আমরা আদালতে যেতে পারি।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার বিকেলে ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে ড. কামাল নিজেই নির্বাচনে অংশ নেবেন না, অনেকে একে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন- এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ‘ষড়যন্ত্র শব্দটা আমার দেশে অনেক বেশি ব্যবহার হয়। আমার এটা খুবই বিরক্ত লাগে। আমার বয়স ৮০ বছর। জাতির জনকের কেবিনেটে যারা ছিল তাদের মধ্যে একজনই বেঁচে আছেন। ২০০৮ সালেও আমাকে নির্বাচন করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, আমি করিনি। এখন অনেক যোগ্য ব্যক্তি ও রাজনীতিবিদরা উঠে আসছেন। তাই আমি নির্বাচন করছি না।’
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে ড. কামাল বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনার ও প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, যেন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার না করে। কিন্তু পাইকারি গ্রেফতার বন্ধ হচ্ছে না। নির্বাচন সুষ্ঠুর জন্য যে পরিবেশ প্রয়োজন এ ধরনের পাইকারি গ্রেফতার বন্ধ না হলে সেই পরিবেশকে সুষ্ঠু বলা যাবে না।’
দেশের নাগরিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পত্রপত্রিকায় নির্বাচনকে বাধা দেয়ার কথা দেখা যাচ্ছে। আমি চট্টগ্রাম, সিলেটসহ কয়েকটি বিভাগের লোকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা পরিবর্তন চায়, অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। ভোটারদের সবাইকে বলতে চাই আপনারা সবাই সতর্ক থাকবেন, সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। পাড়া-প্রতিবেশী সবাইকে নিয়ে কেন্দ্রে যাবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারদের নিজ নিজ জায়গা থেকে নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়াও দেশবাসীকে ১৯৭১ সালের মতো ঐক্যবদ্ধ হতে বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্যফ্রন্ট নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।