খাদিজা বাবাকে চিনলেন, খাবারও খেলেন…
ঢাকা অফিসঃ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের চাপাতির আঘাতে গুরুতর আহত সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। তাকে এখন মুখে নরম খাবার দেওয়া হচ্ছে।
১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার তাকে পুডিং খেতে দেওয়া হলে একটু সময় নিয়ে তিনি তা খেয়েছেন। আহত হওয়ার ১৫ দিন পর প্রথমবার মুখে খাবার খেলেন তিনি। গত ৩ অক্টোবর তাকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন বদরুল। প্রথমে খাদিজাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরদিন অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। খাদিজা মঙ্গলবার তার বাবা মাশুক মিয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে মুখ ফিরে তাকান; এসময় বাবাকে চিনতে পেরেছেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে খাদিজার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মামলার অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিলেট নগরীর শাহপরান থানার উপ-পরিদর্শক হারুনুর রশীদ।
পরিবারের সদস্যদের বরাতে তিনি বলেন, মামলার বিষয়ে খাদিজার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সকালে তাকে খাবার পুডিং দেওয়া হলে তিনি তা খেয়েছেন। খাদিজার শারীরিক অবস্থা আরো উন্নতি হয়েছে। তিনি পরিবারের সদস্যদের চিনতে পারছেন।
জানা গেছে, খাদিজার অনুভূতি ফিরেছে। তবে এখনো তার বাম-পা ও হাত কাজ করছে না। তার শরীরের অন্যান্য অংশের ব্যথার অনুভূতি ফিরে এসেছে। কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর ০৪ অক্টোবর স্কয়ারের চিকিৎসকরা বলেছিলেন, খাদিজার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা পাঁচ ভাগ।