খালেদা জিয়ার ৭ বছরের কারাদণ্ড চাইল দুদক

477

বাংলাদেশ:জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের প্রথম দিনেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এ মামলায় অপর চার আসামিরও একই সাজা চাওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালত-৫ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এ দাবি জানান।image-123496-1517302935-696x463

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানী ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫-এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। এর আগে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে আদালতে হাজির হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত নামসর্বস্ব জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করেন। প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকেও তিনি ব্যবস্থাপনা ট্রাস্টি হিসেবে থেকেছেন এবং পদ গোপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত সেনানিবাসের মইনুল রোডের বাসাটি ট্রাস্টির ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করেছেন। ট্রাস্টির অনুকূলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সোনালী ব্যাংকের শাখায় অ্যাকাউন্ট করেছেন তার নামে। সেখানেও তিনি পদ গোপন করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হলেন পাবলিক সার্ভেন্ট। তিনি পদ গোপন করে ব্যক্তিগত নামে ট্রাস্টি কার্যক্রম চালিয়েছেন। ট্রাস্টি আইনের লঙ্ঘন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে ট্রাস্টের নামে টাকা সংগ্রহ করেছেন, যার কোনো উৎস নেই। অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করেছেন একক স্বাক্ষরে। টাকা সংগ্রহ করেছেন এবং খরচ করেছেন যার কোনো উৎস নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘এই সব অপরাধের কারণে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি আইন অনুযায়ী সাত বছর কারাদণ্ড। আদালতের কাছে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।’
উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ মামলার অভিযোগ গঠন করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব এবং বিআইডব্লিউটিএ’র সাবেক নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না, ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.