খুলনায় জামায়াতের দুই নেতা গ্রেফতার

645

খুলনা-৫ আসনে ২০দলীয় জোট প্রার্থী অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের ভাই জামায়াতে ইসলামী খুলনা উত্তর জেলার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস ও ডুমুরিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শিরিনা দৌলতসহ চারজনকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ডুমুরিয়া ও ফুলতলা থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

374331_154

গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে ফুলতলা থানায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গোলাম কুদ্দুসকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন খুলনা-৫ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং খুলনা মহানগরী ও জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, মিয়া গোলাম কুদ্দুস গতকাল শুক্রবার বেলা ২টার দিকে ফুলতলা এলাকায় ধানের শীষে গণসংযোগে বের হন। সেখান থেকে ফুলতলা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এছাড়া একই এলাকা থেকে বিএনপিকর্মী ইজাহারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, ১৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙ্গা বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে একটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। এরপর রাত সোয়া ৯টার দিকে দামোদরে গাড়াখোলা ইউনিয়ন কার্যালয়ে বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এ দুই ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতারা বাদি হয়ে তিনটি মামলা করেন। ওসব মামলায় জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা এমরান হোসাইনসহ ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার মিয়া গোলাম কুদ্দুসকে আটক করে এ দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।অপরদিকে চুকনগর এলাকা থেকে ডুমুরিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শিরিনা দৌলতকে পুলিশ গ্রেফতার করে। শুক্রবার বিকেলে চুকনগর থেকে ডুমুরিয়া যাওয়ার পথে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মিয়া গোলাম কুদ্দুস ও শিরিনা দৌলতসহ চারজনকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে খুলনা মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মাস্টার শফিকুল আলম, দক্ষিণ জেলা আমীর গোলাম সরোয়ার, উত্তর জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মাওলানা কবিরুল ইসলাম, মহানগর সেক্রেটারি অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, গাউসুল আযম হাদী, হাফেজ আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ফিরোজ কবীর, মহানগরী ছাত্রশিবির সভাপতি হাবিবুর রহমান ও সেক্রেটারি শাহরিয়ার ফয়সাল, জেলা সভাপতি তাওহীদ উর রহমান ও সেক্রেটারি নাহিদ হাসান বিবৃতি দিয়েছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.