একাদশ জাতীয় সংসদ স্থগিত গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ি) আসনে মহাজোট মনোনীত আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. ইউনুস আলী সরকার ১ লাখ ২১ হাজার ১৬৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দিলারা খন্দকার ভোট পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৮৫টি।
ঘোষিত পুন: তফসিল অনুযায়ী রোববার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি তথ্যে জানা গেছে, মোট ভোট কাস্ট হয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৩০৪। এরমধ্যে বৈধ ভোট ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৭০ এবং বাতিল ভোটের সংখ্যা ২ হাজার ৫৩৪। ভোট কাস্ট হয়েছে শতকরা ৩৯.১৭ ভাগ।
নির্বাচনে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মহাজোটভুক্ত আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. ইউনুস আলী সরকার (নৌকা) প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন। অন্যরা প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন জাপা (এ) প্রার্থী দিলারা খন্দকার (লাঙ্গল) ও জাসদ প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি (মশাল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মিজানুর রহমান তিতু (আম) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. জাহিদ (সিংহ)।
রোববার আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. ইউনুস আলী সরকার তার নিজ ভোট কেন্দ্র ভাতগ্রাম স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সকাল ৮টায় ভোট প্রদান করেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী দিলারা খন্দকার পলাশবাড়ি টাউন হল মহিলা ভোট কেন্দ্রে এবং জাসদ প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি সাদুল্যাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের আলদাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন।
গাইবান্ধার সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, রোববার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ওই দুই উপজেলার ১৩২টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। এতে ২,৫০০ পুলিশ, বিজিবি ২০ প্লাটুন, র্যাব ২০ প্লাটুন ও ১ হাজার ৫৮৪ জন আনসার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল।
সাদুল্যাপুর ও পলাশবাড়ি উপজেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, শুরু থেকে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতির সংখ্যা বাড়তে থাকে। দুই একটি কেন্দ্র ছাড়া অধিকাংশ কেন্দ্রেই ভোটারদের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়েনি।
তবে ভোট গ্রহণের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অব্যাহতভাবে ভোটাররা কেন্দ্রে ভোট দিতে আসে। তবে পুরুষ ভোটারের চেয়ে মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়।
রিটার্নিং অফিসার ও গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিন জানান, কোথাও থেকে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
জাপা (জাফর) মনোনীত ঐক্যফন্ট প্রার্থী ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী গত ২০ ডিসেম্বর গভীর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে নির্বাচন কমিশন ওই আসনের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন।