গালভরা রিপোর্ট, টিআই’কে দুদক চেয়ারম্যান
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, গালভরা রিপোর্ট সবাই দিতে পারে। টিআই’র দুর্নীতির ধারণা সূচক রিপোর্টে যদি অ্যানালিটিকস না থাকে, ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার না থাকে, তবে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না।
মঙ্গলবার বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) ২০১৮ সালের দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে দুর্নীত আরও বেড়েছে। বিশ্ব ইনডেক্সে দেশটি চার ধাপ অবনমন হয়ে ১৩তম হয়েছে।
এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় দুদক চেয়ারম্যান সেগুন বাগিচার কার্যালয়ে শুরুতে বলেন, ‘দ্বিমত থাকলেও আমরা টিআই এবং গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) প্রতিবেদনকে স্বাগত জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, জিএফআই গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে জানায়, বিগত ১০ বছরে (২০০৬-২০১৫) বাংলাদেশ থেকে ৬ হাজার ৩০৯ কোটি ডলার (৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা) পাচার হয়েছে, যা দেশের চলতি বছরের (২০১৮-২০১৯) জাতীয় বাজেটের চেয়েও বেশি। এর মধ্যে শুধুমাত্র ২০১৫ সালেই পাচার হয়েছে ৫৯০ কোটি ডলার (প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা)।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘টিআই’কে আমরা আগেও বলেছি, আপনারা কোন ম্যাথলজি ইউজ করেছেন, আমাদের জানান। নিশ্চয় তাদের কাছে অ্যানালিটিকস আছে। ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার রয়েছে। ২০১৮ সালের প্রতিবেদন আমাদের কাছে এখনো পৌঁছেনি। হাতে এতে তা খতিয়ে দেখা হবে।’
এরপরই সমালোচনা করে টিআই’র উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘গালভরা রিপোর্ট সবাই দিতে পারে। আপনাকে বলতে হবে কোন সরকারি কর্মকর্তা, কোন রাজনীতিক দুর্নীতি করছেন? কারা, কিভাবে কোথায় অর্থ পাচার করছেন? তা না হলে দুর্নীতির এই মহাসমুদ্রে আমি কাকে ধরব, কাকে খুঁজব?’
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আপনাদের (টিআই) রিপোর্টে যদি অ্যানালিটিকস না থাকে, ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার না থাকে। তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। আমরা অবশ্যই টিআই’র বাংলাদেশ অফিসের কাছে ব্যাখ্যা চাইব।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দুদকের স্বাধীনতা খর্ব করার মতো কোনো আইন সংসদে হয়নি। টিআই আমাদের প্রতিপক্ষ নয়, আমরাও টিআই’র প্রতিপক্ষ নই।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সারা বিশ্বে অর্থ পাচারের বিষয় আছে। আমরা দুর্নীতি বন্ধ করতে পারব না, কমাতে পারব।’