গৃহকর্মী থেকে মাইক্রোসফটের অ্যাম্বাসেডর কুড়িগ্রামের ফাতেমা

653

অনলাইন ডেস্ক:অভাব অনটনের সংসার ছিল ফাতেমার। মাত্র ৯ বছর বয়সে তাই তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় মধ্যবিত্ত একটি পরিবারের গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে। সেখানে সামান্য বেতনে কাজ করতে হতো তাকে।
প্রায় দু’বছর পর কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার এই কিশোরীর বয়স যখন ১১ বছর হলো তখন হঠাৎ একদিন তারা বাবা-মা তাকে বাড়িতে ডেকে পাঠাল।fatema-20180216123504
আর তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অন্য কারণে নয়, আসলে তার বিয়ে দেয়ার জন্য। ১১ বছর বয়সী ফাতেমার বিয়ে ঠিক হয়েছিল ২৫বছর বসয়ী এক যুবকের সঙ্গে।
সম্প্রতি মাইক্রোসফট তাদের ওয়েবসাইটে ফাতেমাকে নিয়ে একটি লেখা প্রকাশ করেছে। ফাতেমা মাইক্রোসফটকে বলেছে, আমার সব আনন্দ মাটি হয়ে গেল যখন আমি বুঝলাম আমাকে আসলে বিয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে।
বিয়ের সব আয়োজন চূড়ান্ত। তবে ঠিক আগ মুহূর্তে সেখানে গিয়ে হাজির হয় স্থানীয় একটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। বাল্য বিয়ের ছোবল থেকে তারা ফাতেমাকে রক্ষা করে।
বাল্য বিয়ের হাত থেকে যে সংস্থাটি ফাতেমাকে বাঁচিয়েছিল সেটির নাম হলো- আশার আলো পাঠশালা। বিয়ে বন্ধ হওয়ার পর ফাতেমার শিক্ষার দায়িত্বও নেয় তারা। তবে তারপরও ফাতেমার বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য চাপ ছিল। ফাতেমাও ছিল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ- বিয়ে সে করবে না।
এরপর ফাতেমা চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। পিএসসি ও জেএসসিতে জিপিএ-৫ পায় সে। এখনও সে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং দারিদ্র্য ও বাল্য বিয়ের কবল থেকে তার মতো অন্য মেয়েদের বাঁচাতে কাজ করছে সে।
ফাতেমার এই পথে তার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র ছিল তার কম্পিটার শিক্ষা। যার শুরুতে ছিল ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট।
এখন অন্য যেসব কিশোরী বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে আছে ফাতেমা তাদের ডিজিটাল দক্ষতার উপর প্রশিক্ষণ দেয়। মাইক্রোসফট তাকে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরও বানিয়েছে।(জাগো নিউজ)

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.