চৌদ্দগ্রামে বাধার মুখে ধানের শীষের পূর্বঘোষিত গণসংযোগের সিদ্ধান্ত বাতিল
কুমিল্লা-১১ চৌদ্দগ্রাম আসনে চলছে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি। প্রতীক বরাদ্দের আগে থেকেই বর্তমান রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের নৌকা প্রতীকের সমর্থনে প্রশাসনের সহায়তায় নেতাকর্মীরা মিছিল অব্যাহত রেখেছে। অপর দিকে প্রতীক বরাদ্দের পর ধানের শীষের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার, হামলা, নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের দলীয় সন্ত্রাসীরা। প্রশাসনের সহায়তায় এবং কোথাও কোথাও পুলিশের গাড়িতে করে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের ঘুরতে দেখা যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন বাজারে অবস্থানরত ধানের শীষের সমর্থক ও কর্মীদের নির্বাচনের দিন না থাকতে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
ধানের শীষ প্রতীকের প্রধান নির্বাচন পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার অভিযোগ করেন, গতকাল সকালে চৌদ্দগ্রাম বাজারে ধানের শীষের পক্ষে গণমিছিলের অনুমতি চেয়ে পুলিশের নিকট মঙ্গলবার আবেদন করা হয়। পুলিশ বুধবার বিকেলে জানাবে বলে রাত ১০টায় জানায়, কৃষক লীগ দুই দিন আগে আবেদন করেছে। তাই ধানের শীষের মিছিল করা যাবে না। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে কৃষক লীগের কোনো প্রকার ব্যানার ছাড়াই ছাত্র ও যুবলীগের শতাধিক কর্মীকে পুলিশ পাহারায় মিছিল করতে দেখা যায়।
এ ছাড়া বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা জুপুয়া ও ধনিজকরায় স্থানীয় যুবলীগ সন্ত্রাসীরা কালিকাপুর ইউনিয়নের বিজয়পুর, ছুপুয়া, আবদুল্লাহপুর, ঘোলপাশা ইউনিয়নের হাঁড়িসর্দার বাজার, নারায়ণপুর, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ফালগুনকরা, চান্দিশকরা, কনকাপৈত ইউনিয়নের করপাটি, তারাশাইল, পন্নারা, জঙ্গলপুর, হিংগুলা, চিওড়া ইউনিয়নের ধোড়করা, চিওড়া, ঘোষতলসহ বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ও পুড়িয়ে ফেলেছে। মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ফেলনা গ্রামে অস্ত্র মামলার আসামি ইমাম হোসেনের নেতৃত্বে যুবলীগ সন্ত্রাসীরা ধানের শীষের ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ও পুড়িয়ে ফেলে। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে সাংবাদিক বেলাল হোসাইনের মোটরসাইকেল নিয়ে যায় পুলিশ। বাতিসা ইউনিয়নের চান্দকরা গ্রামে পোস্টার লাগানোর সময় ধানের শীষের কর্মী সবুজকে সন্ত্রাসীরা মারধর করে।