ছাত্রদলকে কথা দিল ছাত্রলীগ
ছাত্রদল নেতা-কর্মী পরিচয়ে কোনো নিয়মিত শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থাকলে কোনো ধরনের সমস্যা করবে না বলে কথা দিয়েছে ছাত্রলীগ।
সোমবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদের সভা শেষে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এ প্রতিশ্রুতি দেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ৩০-৩৫ ভাগ শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। বাকিরা সাধারণ শিক্ষার্থী ও অন্যান্য সংগঠনের নেতা-কর্মী। ছাত্রদলের নেতাদের প্রতি অনুরোধ, হলগুলোতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের যেসব নেতা-কর্মী রয়েছেন, তাদের তালিকা তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দিক। কথা দিচ্ছি, ছাত্রদল নেতা-কর্মী পরিচয়ে কোনো নিয়মিত শিক্ষার্থী হলে থাকলে আমরা কোনো ধরনের সমস্যা করব না।
এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, ডাকসু নির্বাচন ঘিরে বিগত দুটি সভায় যোগ দিতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের নিরাপত্তা নিয়ে এসেছিলাম। আজকে সেটি প্রয়োজন হয়নি। যদি সত্যিকার অর্থেই সহাবস্থান নিশ্চিত হয়, সেটি স্বীকার করতেও আমাদের দ্বিধা নেই। নির্বাচনের স্বার্থে যেকোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার মানসিকতা আমাদের আছে। আমরা চাই ডাকসুটা সচল হোক।
ছাত্রদলের এই নেতা বলেন, ছাত্রলীগ আজ আমাদের মধুর ক্যানটিনে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আগামীকাল থেকেই মধুর ক্যান্টিনে আসতে চাই। ক্যাম্পাসে আমাদের আগমনকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি হোক, তা আমরা চাই না। দু-এক দিন সময় নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে ছাত্রলীগের নেতারা তফসিলের আগেই যেন সহাবস্থানের একটা পরিবেশ তৈরি করেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামন। এসময় প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভা পরিচালনা করেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। এসময় ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের দুই অংশ, জাসদ সমর্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই অংশ, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্রমৈত্রী, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, ছাত্র আন্দোলনসহ ১৪টি ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ডাকসু নির্বাচনের প্রধান অংশীদার বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন নিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর পরিবেশ পরিষদের প্রথম বৈঠক হয়। ১০ জানুয়ারি ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন ও পরিমার্জনে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠক করে কর্তৃপক্ষ।