ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল জানালেন কোটি টাকার উৎস

234
নিউজবিডিইউএস:ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক থাকার সময় সিদ্দিকী নাজমুল আলম একটি ব্যাংকে প্রায় ১ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন- সম্প্রতি এমন তথ্য প্রকাশ হয়েছে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় চলছে।ছাত্রসংগঠনের শীর্ষ পদে থেকে কিভাবে তিনি ব্যাংক উদ্যোক্ত হলেন? এত টাকার উৎস কি? ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এটি বৈধ কিনা? ছাত্রলীগ ছাড়াও সবাই এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন।সিদ্দিকী নাজমুল আলম বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই তিনি এই টাকার উৎস ও ব্যাংক উদ্যোক্তা হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।FB_IMG_1491584023840
শুক্রবার ভোরে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে নাজমুল ব্যাংক উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প বলেছেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, দানবের থাবা থেকে বন্ধুকে বাঁচাতে তিনি ব্যাংক উদ্যোক্তা হয়েছেন। তার নামে ওই ব্যাংকে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই, যাননি কখনো।

স্ট্যাটাসে পত্রপত্রিকার প্রকাশিত খবর নিয়ে এক রকম ক্ষোভই ঝেড়েছেন সাবেক এই নেতা। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককেও তীর্যক মন্তব্য করতে ছাড়েননি তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র সিদ্দিকী নাজমুল আলম। ২০১১ সালের জুলাইয়ে ২৭তম কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি।

এর এক বছর পরই তিনি ব্যাংক উদ্যোক্তা হন। ২০১৩ সালের শুরুর দিকে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন পাওয়া দ্য ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের ৩৯ ব্যক্তি উদ্যোক্তার একজন নাজমুল। প্রতিষ্ঠাকালেই ব্যাংকটির ১০ লাখ শেয়ারের মালিক নাজমুল আলম। প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা হিসাবে ফারমার্স ব্যাংকের মূলধনে তার জমা ১ কোটি টাকা।
jessim

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ৫ (গ) ধারায় বলা হয়েছে, বিবাহিত, ব্যবসায়ী ও চাকরিতে নিয়োজিত কোনো ছাত্র ও ছাত্রী ছাত্রলীগের নেতা হতে পারবেন না।

সে হিসেবে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করেছেন সে সময়কার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে কিছু না বললেও তার এই ব্যাংক উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প বলেছেন তিনি।

নিজেকেও সাদা ফকফকা বলে দাবি করেছেন নাজমুল। স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো ব্যাংকের পরিচালক কিংবা উদ্যোক্তা কিছুই না। আমার এক অসহায় বন্ধুকে এক দানবের থাবানল থেকে রক্ষা করেছিলাম, সে পরিচালক হয়েছিল। শুধু তার ওপর যেন দানবের থাবা আর না পড়ে, সেজন্য আমার নামে কিছু প্রাইমারি শেয়ার কিনেছিল। আমিও বোকার মতো রাজি হয়েছিলাম। সেই ব্যাংকে কোনো একাউন্টও নেই আমার কিংবা যায়নি কখনো।’

নাজমুল বলেন, ‘আজ সারাদিন সামাজিক মাধ্যম গরম ছিল সিদ্দিকী নাজমুল আলমকে নিয়ে। বিতর্কিত নিউজ এটা আমার নিত্যদিনের সঙ্গী। যারা আত্মতৃপ্তির ঢেকুর গিলছেন তাদের বলি দৌড়াতে থাকেন, হাঁপাতে হাঁপাতে দেখবেন সিদ্দিকী নাজমুল আলম সাদা ফকফকা। কারণ, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কোনো ভবন নিয়ন্ত্রণ কিংবা সরকারি কাজে দালালি কিংবা কমিশন খেয়ে কোনো মানুষের উপকার করার মতো ঘটনা আমার ডিকশনারিতে নেই। যেটা হরহামেশাই অনেকেই করেন। কতকিছু আমাকে বানালেন, শেষ আইটেম এইটা দেখি কতটুকু হিট হয়।’

তিনি বলেন, ‘আর সংবাদপত্রে যে রিপোর্টার যে ভাষায় নিউজটি করছেন, সে হয়তো অনেক জমিদারের পুত্র। তবে আমি এখনো গর্ব করে বলি আমি নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। তবে আমার শখ পূরণ আমি করি। কারণ, ছোটবেলা থেকেই আমার আত্মাকে আমি কখনোই কষ্ট দেই না।’

‘লিখব আরেক দিন হয়তো…’ দিয়েই স্ট্যাটাসের শেষ টেনেছেন ছাত্রলীগের দাপুটে নেতা সিদ্দিকী নাজমুল আলম।(সুত্র:পরিবর্তন)

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.