নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনের ভাষণ দেওয়ার সময় জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মিরা। নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ৩টা থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও সকল অঙ্গসংগঠন জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে শেখ হাসিনা ও বর্তমান সরকার বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৮টায় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারন অধিবেশনে ভাষণ দেন।
একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশ প্রতিহতের ডাক দিয়ে একই মাঠের অপর প্রান্তে মুখোমুখি অবস্থান নিলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সফরসঙ্গী মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তারা এ সময় সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের ভেতর অবস্থান করছিলেন। বেশ কিছু প্রবাসীকে পর্যবেক্ষক হিসেবে সম্মেলন কেন্দ্রে অবস্থান নিতে দেখা যায়। জাতিসংঘ সদর দপ্তর সংলগ্ন এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শত শত নেতা-কর্মির সমাগম ঘটে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে স্বৈরাচার, গণবিরোধী ও অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে বিএনপির বিক্ষোভের মুখে আওয়ামী লীগের লোকজনের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। জানা গেছে, দলীয় কোন্দলের কারণে অনেকেই বিএনপির সমাবেশ প্রতিহত আহবান করেও ঘটনাস্থলে আসেনি। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আওয়ামী লীগের আরও কিছু নেতা-কর্মী বিক্ষোভরত এলাকায় জড়ো হন। তবে তাঁদের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে দেওয়া স্লোগান বিএনপির ব্যাপক স্লোগানের মুখে চাপা পড়ে যায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনির্বাচিত ও অবৈধ প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে বিএনপি নেতারা শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে অরুচিকর শ্লোগান দেওয়া শুরু করলে আওয়ামীলীগের কর্মিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে পুলিশের ব্যারিকেড ডিঙ্গিয়ে বিএনপির কর্মিদের উপর আক্রমনের চেষ্টা করেন। পরে উভয় দলের মধ্যে পানির বোতল ও জুতা দিয়ে ঢিল ও পাল্টা ঢিল ছোঁড়া শুরু হয়। চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এ দৃশ্য দেখার জন্য থমকে দাঁড়িয়ে যান বিদেশি নাগরিকরা।পরে আইন শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা এসে উভয় দলকে ছত্রভঙ্গ করে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে উঠে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি নেতারা বলেন, গত ৫ জানুয়ারি অগণতান্ত্রিক ও প্রহসনের নির্বাচনে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার কোনই অধিকার নেই। কারণ তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি। যুক্তরাষ্ট্রের যেখানেই হাসিনা সেখানেই প্রতিরোধ আন্দোলন সর্বাত্মক ভাবেই সফল হয়েছে বলে জানান বিএনপি নেতারা। তাঁরা বলেন, দেশের সাধারন মানুষকে খুন গুম আর ভয়াবহ আতংকের মধ্যে রেখে জাতিসংঘে এসে শান্তির কথা বলে বিশ্ববাসীর কাছে মিথ্যাচার করছে শেখ হাসিনা। বক্তারা বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার অনির্বাচিত ও অগণতান্ত্রিক সরকার। তাঁরা দেশের বিরোধী দলের নেতাকর্মিদের উপর জেল-জুলুমসহ হত্যার রাজনীতি করছে। এ বিক্ষোভ সমাবেশে অবিলম্বে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান নেতারা।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতাকর্মিদের মধ্যে যথাক্রমে- জিল্লুর রহমান জিল্লু, প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন, গিয়াস আহমেদ,শরাফত হোসেন বাবু, আখতার হোসেন বাদল,মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, আব্বাস উদ্দিন দুলাল, জসীম উদ্দিন ভুইয়া, মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন, আব্দুস সবুর, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আবুল কাশেম, মোশারফ হোসেন সবুজ, রকিব উদ্দিন দুলাল, ওমর ফারুক, আতিকুল হক আহাদ, শফিক উদ্দিন দুলাল, আকিকুর রহমান ফারুক, মেয়র আবুল কালাম আজাদ, এবাদ চৌধুরী, জাকির হাওলাদার, আতিকুল আহাদ, একে আজাদ, দেলোয়ার হোসেন শিপন, নুরে আলম, আহসান মামুন ও এস আহম্মেদ রুমেল, গোলাম ফারুক শাহীন, পারভেজ সাজ্জাদ, মতিউর রহমান লিটু, হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, মাওলানা আতিকুর রহমান, সাঈদুর রহমান সাঈদ, ভিপি জসিম, আশরাফ হোসেন, মাওলানা আতিকুর রহমান আতিক, সাঈদুর রহমান সাঈদ, হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, আশারাফ হোসেন, তারেক রহমান, জাহাঙ্গীর এম আলম, রুহুল আমিন নাছির, রিয়াজ চৌধুরী, শাহাদাৎ হোসেন রাজু, আলমগীর মৃধা, পরান চৌধুরী ও অর্ণব রুবেল।
নিউ ইংল্যান্ড বিএনপি’র সৈয়দ বদরে আলম সাইফুল, কাজী নুরুজ্জামান, মাহমুদুর রহমান, আলী হায়দার মনসুর, আব্দুর রাজ্জাক, আশরাফুল আলম টিটু, ইকবাল, মাসুদ রানা, রোকেয়া জামান এলিজা, গোলাম আজম, রেজাউল করিম, তৈয়ব হোসেন, মোশারফ হোসেন ও সাইফুল ইসলাম।
শিকাগো ইলিনয় ষ্টেট বিএনপি’র শাহ মোজাম্মেল নান্টু, নারগিস আহমেদ ডেইজি, দুলু মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক অভি ওয়াহিদ, মোহাম্মদ জব্বার রিপন, রাকিব হোসেন, হাদি ভূঁইয়া ও তাজুল ইসলাম।
মিশিগান বিএনপি’র সেলিম আহমেদ, নাহিদ চৌধুরী, আজমল ইসলাম নয়ন, মুজিব আহমেদ মুনির, মোহাম্মদ খালিক, নাজমুল হক ও কামাল। পেনসিলভানিয়া বিএনপি শাহ ফরিদ এমএ বাসেত ও মিলন প্রমুখ।


এদিকে বিএনপির বিক্ষোভের মুখে আওয়ামী লীগের লোকজনের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। জানা গেছে, দলীয় কোন্দলের কারণে অনেকেই বিএনপির সমাবেশ প্রতিহত আহবান করেও ঘটনাস্থলে আসেনি। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আওয়ামী লীগের আরও কিছু নেতা-কর্মী বিক্ষোভরত এলাকায় জড়ো হন। তবে তাঁদের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে দেওয়া স্লোগান বিএনপির ব্যাপক স্লোগানের মুখে চাপা পড়ে যায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনির্বাচিত ও অবৈধ প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে বিএনপি নেতারা শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে অরুচিকর শ্লোগান দেওয়া শুরু করলে আওয়ামীলীগের কর্মিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে পুলিশের ব্যারিকেড ডিঙ্গিয়ে বিএনপির কর্মিদের উপর আক্রমনের চেষ্টা করেন। পরে উভয় দলের মধ্যে পানির বোতল ও জুতা দিয়ে ঢিল ও পাল্টা ঢিল ছোঁড়া শুরু হয়। চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এ দৃশ্য দেখার জন্য থমকে দাঁড়িয়ে যান বিদেশি নাগরিকরা।পরে আইন শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা এসে উভয় দলকে ছত্রভঙ্গ করে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে উঠে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি নেতারা বলেন, গত ৫ জানুয়ারি অগণতান্ত্রিক ও প্রহসনের নির্বাচনে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার কোনই অধিকার নেই। কারণ তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি। যুক্তরাষ্ট্রের যেখানেই হাসিনা সেখানেই প্রতিরোধ আন্দোলন সর্বাত্মক ভাবেই সফল হয়েছে বলে জানান বিএনপি নেতারা। তাঁরা বলেন, দেশের সাধারন মানুষকে খুন গুম আর ভয়াবহ আতংকের মধ্যে রেখে জাতিসংঘে এসে শান্তির কথা বলে বিশ্ববাসীর কাছে মিথ্যাচার করছে শেখ হাসিনা। বক্তারা বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার অনির্বাচিত ও অগণতান্ত্রিক সরকার। তাঁরা দেশের বিরোধী দলের নেতাকর্মিদের উপর জেল-জুলুমসহ হত্যার রাজনীতি করছে। এ বিক্ষোভ সমাবেশে অবিলম্বে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান নেতারা।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতাকর্মিদের মধ্যে যথাক্রমে- জিল্লুর রহমান জিল্লু, প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন, গিয়াস আহমেদ,শরাফত হোসেন বাবু, আখতার হোসেন বাদল,মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, আব্বাস উদ্দিন দুলাল, জসীম উদ্দিন ভুইয়া, মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন, আব্দুস সবুর, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আবুল কাশেম, মোশারফ হোসেন সবুজ, রকিব উদ্দিন দুলাল, ওমর ফারুক, আতিকুল হক আহাদ, শফিক উদ্দিন দুলাল, আকিকুর রহমান ফারুক, মেয়র আবুল কালাম আজাদ, এবাদ চৌধুরী, জাকির হাওলাদার, আতিকুল আহাদ, একে আজাদ, দেলোয়ার হোসেন শিপন, নুরে আলম, আহসান মামুন ও এস আহম্মেদ রুমেল, গোলাম ফারুক শাহীন, পারভেজ সাজ্জাদ, মতিউর রহমান লিটু, হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, মাওলানা আতিকুর রহমান, সাঈদুর রহমান সাঈদ, ভিপি জসিম, আশরাফ হোসেন, মাওলানা আতিকুর রহমান আতিক, সাঈদুর রহমান সাঈদ, হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, আশারাফ হোসেন, তারেক রহমান, জাহাঙ্গীর এম আলম, রুহুল আমিন নাছির, রিয়াজ চৌধুরী, শাহাদাৎ হোসেন রাজু, আলমগীর মৃধা, পরান চৌধুরী ও অর্ণব রুবেল।
নিউ ইংল্যান্ড বিএনপি’র সৈয়দ বদরে আলম সাইফুল, কাজী নুরুজ্জামান, মাহমুদুর রহমান, আলী হায়দার মনসুর, আব্দুর রাজ্জাক, আশরাফুল আলম টিটু, ইকবাল, মাসুদ রানা, রোকেয়া জামান এলিজা, গোলাম আজম, রেজাউল করিম, তৈয়ব হোসেন, মোশারফ হোসেন ও সাইফুল ইসলাম।
শিকাগো ইলিনয় ষ্টেট বিএনপি’র শাহ মোজাম্মেল নান্টু, নারগিস আহমেদ ডেইজি, দুলু মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক অভি ওয়াহিদ, মোহাম্মদ জব্বার রিপন, রাকিব হোসেন, হাদি ভূঁইয়া ও তাজুল ইসলাম।
মিশিগান বিএনপি’র সেলিম আহমেদ, নাহিদ চৌধুরী, আজমল ইসলাম নয়ন, মুজিব আহমেদ মুনির, মোহাম্মদ খালিক, নাজমুল হক ও কামাল। পেনসিলভানিয়া বিএনপি শাহ ফরিদ এমএ বাসেত ও মিলন প্রমুখ।