জাপান বিএনপি কর্তৃক ৫ই জানুয়ারির গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন।

490

ফেরদৌসী আক্তার পলিঃ গত ৫ই জানুয়ারি জাপান বিএনপির উদ্যোগে পালিত হয়েছে “গণতন্ত্র হত্যা দিবস”।

এতে সভাপতিত্ব করেন জাপান বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এ এম সাহিন। জাপান বিএনপির সেক্রেটারি শাহজালাল সিকদার সাগর এর নির্দেশনায় সভা পরিচালনা করেন জাপান বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ রোম্মান। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী গন-আন্দোলনের রাজপথের নেতা ও বিএনপির অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ডঃ তোফাজ্জল হোসেন তপু।

1

সভায় জাপান বিএনপির সেক্রেটারি শাহজালাল সিকদার সাগর তার বক্তৃতায় বলেন যে বাংলাদেশে বার বার গণতন্ত্র হত্যা করেছে একমাত্র আওয়ামীলীগ। কেবল ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি-ই নয়, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭৩ সালের সাধারন নির্বাচনে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু তার এক বছর পেরুতে না পেরুতেই ১৯৭৪ বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে একটি স্বাধীন দেশের গণতন্ত্রকে ও মানুষের ভোটের অধিকারকে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি সবাইকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃতে ও তারেক জিয়ার দিকনির্দেশনায় গণতন্ত্রের সংগ্রামে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ৫ই জানুয়ারি কেবল গনতন্ত্রকেই নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে-ই হত্যা করা হয়েছে।

2

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ২০১৪ সালে অবৈধ নির্বাচনের বিরুদ্দে যে আন্দোলন হয়েছে, বাংলাদেশের হাজার বছরের আন্দোলনের ইতিহাসে এত বিরাট, ব্যাপক ও সফল আন্দোলন আর কখনও হয়নি। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ৬ জন শহীদ হয়েছিল, আর বাংলাদেশের আরেক স্বৈরাচার এরশাদ পতনের আন্দোলনে শহীদ ডাঃ মিলন, নুর হোসেন সহ ১১ জন ভাই শহীদ হয়েছিলেন, যেই আন্দোলনে আমি নিজেও রাজপথে ছিলাম। আর অবৈধ নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি বিএনপি-র ৭৪ জন নেতাকর্মী একদিনে শহিদ হয়েছিলেন। আর নির্বাচন পরবর্তী সময়ে শহীদ হয়েছেন কয়েক হাজার বিএনপি নেতা কর্মী। শুধু তাই নয়, দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে বাংলাদেশের মানুষ এই নির্বাচনকে ১০০% প্রতিরোধ করতে সমর্থ হয়েছিলেন, তার প্রমান ১৫৪টি আসনে কোন নির্বাচন হয়নি, কেউ ১ টি ভোট ও দেয়নি, যাহা বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে কোন স্বৈরাচার ও একদলীয় নির্বাচনের বিরুদ্দে এক নজিরবিহীন ও ইতিহাস সৃষ্টিকারি প্রতীবাদ। ডঃ তোফাজ্জল হোসেন আরও বলেন, কোন দলের সরকার ঘঠন করার জন্য সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে নুন্যতম ১৫১টি আসন প্রয়োজন হয়। আর ২০১৪ সালের অবৈধ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৪টি আসনে কোন নির্বাচন হয়নি, আর বাকি ১৪৬টি আসন দিয়ে কোন সরকার ঘঠন করা যায়না। কাজেই, প্রধানমন্ত্রী সহ বর্তমান সরকার সম্পূর্ণরুপে একটি অবৈধ সরকার। ডঃ হোসেন আরও বলেন, খালেদা জিয়া তার আন্দোলন থেকে একটুও পিছপা হবেননা, কারন তত্তাবদায়ক সরকারের দাবি কেবল বিএনপি-র দাবি-ই নয়, এটা এখন প্রতিটি জনগণের দাবি, এটা এখন গোটা বিশ্বের দাবি। যে প্রক্রিয়ায় বা যে নামে-ই হউক না কেন, অথবা যাকে দিয়েই হউক না কেন, তত্তাবদায়কের দাবি সেখ হাসিনাকে মানতেই হবে, কারন এর কোন বিকল্প নেই।

ডঃ হোসেন আরও বলেন, জাপানে নতুন কমিটি নিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার নির্দেশকে মোতাবেক সবাইকে নিয়ে জাপানে একটি শক্তিশালী কমিটি করায় মনোযোগ দেয়ার জন্য জাপান বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানান।

সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ রোম্মান তার বক্তৃতায় বলেন বর্তমান অবৈধ সরকার দেশে খুন-গুম-ক্রসফায়ার ও জেল-জুলুমের ভিতর দিয়ে দেশে এমন একটি রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করেছে, যাহা বাংলাদেশের মানুষ আগে কখনও দেখেনি। আমরা এই আত্যাচার নির্যাতন ও জুলুম থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিনের কাছে সাহায্য কামান করছি।

এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মোঃ শাহনেওয়াজ ইবনে হোসেইন, বায়েজিদ হাসান, আব্দুল আউয়াল রাজু, মোঃ জাহিদ, মোঃ আরিফ, মেঃ গোলাম কিবরিয়া, মোঃ দিপু, মোঃ ফয়সাল, সাইফুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, আলমগীর হোসেন, রাসেদুল ইসলাম, কাওছার আহম্মেদ, মোহাম্মদ সফিক, সাবু।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.