নিউজবিডিইউএসঃবিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নেতৃত্বে রাজধানীতে মিছিল।রিজভীর মত কিছু কেন্দ্রীয়, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতা ছাড়া বিএনপির নেতাদের এধরনের রাজপথ বা ঘরোয়া কোনো কর্মসূচিতে তেমন দেখা মেলেনা।
এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বেশির ভাগ নেতা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।বিএনপি আত্মসমালোচনা ও অনুসন্ধান করলে দেখতে পাবে যে, দলে রাজনৈতিক দর্শন ও মতাদর্শগত অনুশীলন ও সংগ্রাম খুবই কম এখন। ফলে আদর্শগত সচেতনতা ও দৃঢ়তা গড়ে উঠছে না। বিপদ-বিপর্যয় মোকাবিলায় সাহসী নেতা-কর্মীর অভাব দেখা দিয়েছে। তাই দলকে দুর্নীতি, দুর্নীতিবাজ ও দুর্বৃত্তায়নমুক্ত করার জন্য সংস্কার করা সময়ের দাবি। বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে নতুন প্রাণের সঞ্চার করতে হলে বিতর্কিত ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে সৎ,যোগ্য, দুর্নীতিমুক্ত সাহসী তরুণদের নেতৃত্বে আনতে হবে। ভোগবাদ ও লুণ্ঠন সংস্কৃতি পরিহার করে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আদর্শগত সচেতনতা ও দৃঢ়তা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রকৃত অর্থে বিএনপিকে শহীদ জিয়ার বিএনপিতে পরিণত করতে হবে। বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন জনাব তারেক রহমানকে সেসব সত্য এখন উপলব্ধি করতে হবে এবং সেই লক্ষ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে। দলীয় চেয়ারপারসনের কারামুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আদায় করার জন্য বিএনপিকে আরও গতিশীল, সুপরিকল্পিত ও প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে হবে। এটার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম জিযা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন জনাব তারেক রহমানকে অভিযুক্ত ভীতু-কাপুরুষের বাদ দিয়ে সৎ ও সাহসী তরুণদের হাতে নেতৃত্বে দিতে হবে।তানাহলে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি যদি দুর্বল হয় তাহলে দেশের অস্তিত্ব বিনষ্টের পাশাপাশি জনগন যে নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হবে তার দায় বিএনপিকেই নিতে হবে।(ডাঃজাহিদ দেওয়ান শামিম,নিউইয়র্ক)