টানাটানির দৃশ্য ধারণ করায় ফটো সাংবাদিক আটক
দৈনিক যুগান্তরের ফটো সাংবাদিক শামীম আহমেদকে মারধর করে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে আটকে রাখার অভিযোগে ৫ কারারক্ষীকে সামায়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে বরিশাল কারাগার থেকে বিপুল পরিমাণ গম কালোবাজারে পাচারের খবর পেয়ে কোতোয়ালি পুলিশ দুটি ভ্যান বোঝাই ২২ বস্তা গমসহ ২ জনকে আটক করে। গম ও আটক ২ জনকে পুলিশের হাত থেকে কারারক্ষীদের ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টার দৃশ্য ধারণ করার সময় কারারক্ষীরা ফটো সাংবাদিক শামীম আহমেদকে মারধর করে কারাগারে আটকে রাখে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তাদের সামায়িক বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃত কারারক্ষীরা হলেন, মো. উজ্জল মিয়া, আবু বক্কর ছিদ্দিক খোকন, মো. আবু সাইদ, মো. কাওছার ও আবুল খায়ের।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের এসআই মাইনুল ইসলাম জানান, কারারক্ষীরা আটক গম ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। দৈনিক যুগান্তরের ফটো সাংবাদিক শামীম আহমেদ কারারক্ষী এবং পুলিশের টানাটানির দৃশ্য ধারণের চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকজন কারারক্ষী মারধর করতে করতে ফটো সাংবাদিক শামীম আহমেদকে কারাভ্যন্তরে নিয়ে আটকে রাখে।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, ছবি তোলার চেষ্টা করলে ফটো সাংবাদিক শামীমকে মারধর করে টেনে কারাগারের ভেতরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে বরিশালের সর্বস্থরের সাংবাদিকরা কারাভ্যন্তরে গিয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে ফেঁটে পড়ে। তারা অভিযুক্তদের সনাক্ত করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান। অবস্থা বেগতিক দেখে কারা কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক ৫ জন কারারক্ষীকে চিহ্নিত করে তাদের সাময়িক বরখাস্তের ঘোষণা দেন। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিআইজি প্রিজন মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক ৫ জন কারারক্ষীকে চিহ্নিত করে সামায়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। শুধু এই ৫ জনই নয়, কারা ফটকের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অন্য অভিযুক্তদেরও সনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।