টিআইবির রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করলেন সিইসি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআইবি) যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
আগারগাঁওস্থ নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) বুধবার সাংবাদিকরা টিআইবির গবেষণার বিষয়টি নজরে আনলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
টিআইবি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এ বিষয়ে আপনি কি বলবেন- জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আমি পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছি। এগুলো ঠিক রিপোর্ট না। গণমাধ্যম থেকে যে তথ্য পেয়েছি তাতে কোথাও এ বিষয়ে কোনো রকমের কোনো অভিযোগ আসেনি।
নির্বাচনে কমিশনের ভূমিকা ছিল লজ্জাজনক টিআইবির এমন বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা অসৌজন্যমূলক বক্তব্য। লজ্জাজনকর এ কথাগুলো বলা ঠিক হয়নি।
টিআইবির এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, গণমাধ্যম, আমাদের কর্মকর্তা, ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি, ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছি। এমন হয়নি। টিআইবি যেরকম বলেছে তার সত্যতা নেই।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ৫০টি আসনে গবেষণা করে তার মধ্যে ভোটের আগের রাতে ৩৩টি আসনের এক বা একাধিক কেন্দ্রে সিল মেরে রাখা হয়েছিল বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি।
মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরে বিদেশি সাহায্যপুষ্ট এই এনজিও।
টিআইবি জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে থেকে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে ৪৫টি জেলার ৫০টি আসনে গবেষণা করা হয়। এর মধ্যে টিআইবি প্রকাশিত প্রাথমিক গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয় এ ৫০টি আসনের মধ্যে ৪৭টি আসনে কমবেশি অনিয়ম হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সারা দেশের বেশিরভাগ কেন্দ্র আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের নেতাকর্মীদের দখলে থাকার অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে সমর্থ হয়নি।