ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকা…
আহমেদ ফয়সাল,ক্যালিফোর্নিয়াঃ বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তর! আমেরিকার ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনো প্রেসিডেন্ট(ইলেক্ট)-কে হাজার হাজার জনতা মেনে না নিয়ে রাজপথে নেমে আসে। টুইটারের মাধ্যমে তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন পরিচালনা শুরু করেছে।
তাদের দাবি, ইলেকটোরাল ভোটিং সিস্টেম বাতিল করে পপুলার ভোটে ফলাফল নির্ধারণ করতে হবে। এর জন্য ওবামা সরকার কে আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিতে হবে।
আজ (৯ ই নভেম্বর) দুপুরের পর থেকেই আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম সিটি ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলেসে সিটি হলের সামনে হাজার হাজার বিক্ষোভকারি জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায় এই বিক্ষোভ ডাউন টাউনের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পরে।
তারা ‘ট্রাম্প ইজ নট আওয়ার প্রেসিডেন্ট, গো এওয়ে ট্রাম্প, ‘হোয়াইট হাউজ ইজ নট ফর ট্রাম্প” ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকে। কেহ কেহ প্রেসিডেন্ট ওবামার নিকটে পুনরায় ভোট গননার ও দাবি করেন।
হ্যারি ক্লায়েন নামে এক বিক্ষোভকারি বলেন, ‘পপুলার ভোটকে আমলে না নেয়া পর্যন্ত এই বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে”।
তারা টুইটারের মাধ্যমে ( #trumpsAnAsshole.com, #trumpsAnAsshole@StandUpSing) এই বিক্ষোভ কর্মসূচীর আয়োজন করে।
বিক্ষোভ কারিগণ বিক্ষোভ করতে করতে এক পর্যায়ে ১১০ নং & ১০১ নং ফ্রি-ওয়ের ওপরে নেমে আসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ফ্রিওয়ে বন্ধ করে দিলে তীব্র যানজটে হাজার হাজার গাড়ি ফ্রিওয়েতে আটকা পরে। ৩ ঘন্টার প্রচেষ্টায় আটকে পরা গাড়িগুলি অবমুক্ত করা হলেও হাইওয়ে এখনো বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মধ্যরাত পেরিয়ে এই শেষ রাতেও (রাত ৩:০০) সিটি হলের সামনে শত শত বিক্ষোভকারি অবস্থান নিয়ে আছে।
এখন পর্যন্ত পুলিশ শান্তভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে হাইওয়ে থেকে ১৫ জন বিক্ষোভ কারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে। আকাশে বিভিন্ন স্থানে হেলিকপ্টার পুলিশ স্যাটে লাইটস’ এ পরিস্থিতে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে। সিটি মেয়র এরিক গার্সিটি বিক্ষোভকারিদের শান্ত হওয়ার আহবান জানান।
এদিকে লস এঞ্জেলেস ফেডারেল বিল্ডিং’এর সামনেও কিছু বিক্ষোভকারি জড়ো হলে স্বল্পতার কারণে পুলিশ সহজেই তাদের ছত্রভঙ্গ করে গাড়িতে তুলে দেয়। কাল ক্যালিফোর্নিয়ার রাজধানী সাক্রামিন্টো’সহ আরো অনেক সিটিতে বিক্ষোভের কর্মসূচী রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই বিক্ষোভ আরো কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। সাদা আমেরিকান, আফ্রিকান আমেরিকান, স্প্যানিশ ইমিগ্রান্ট’রাই মূলত বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোন বাংলাদেশীকে অংশ নিতে দেখা যায় নি।