ড. কামালকে হত্যার ষড়যন্ত্র!

439

বিরোধী জোট ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনকে হত্যা করতে সাত পাকিস্তানি বাংলাদেশে ঢুকেছে বলে ফাঁস হওয়া এক ফোনালাপে ফাঁস হয়েছে বলে জানা যায়। এতে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুর সঙ্গে জনৈক শওকতের সঙ্গে ড. কামালকে নিয়ে আলাপ হয়েছে।

375616_178

বিরোধী জোট ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনকে হত্যা করতে সাত পাকিস্তানি বাংলাদেশে ঢুকেছে বলে ফাঁস হওয়া এক ফোনালাপে ফাঁস হয়েছে বলে জানা যায়। এতে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুর সঙ্গে জনৈক শওকতের সঙ্গে ড. কামালকে নিয়ে আলাপ হয়েছে।

ড. কামাল হোসেনকে সেফ কাস্টোড়িতে নিয়ে তাকে নিরাপত্তা দিতে মন্টুকে পরামর্শ দিয়েছেন লন্ডন প্রবাসী শওকত।

এদিকে মতিঝিলে ড. কামালের আইন পেশার চেম্বারে গিয়ে তার নিরাপত্তার বিষয়ে খোঁজ নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি দল।

মতিঝিল থানার উপকমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেছেন, কাজের অংশ হিসেবে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের নিরাপত্তার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গিয়েছিলেন তারা।

আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন পুলিশের একটি দল বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মতিঝিলে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স ভবনে কামাল হোসেনের চেম্বারে যান।

মোস্তফা মহসিন মন্টু ও শওকতের মধ্যে ফোনালাপ:

শওকত: আসসালামু আলাইকুম

মন্টু: ওয়ালাইকুমআসসালাম।

শওকত: মন্টু ভাই, আমি শওকত বলছিলাম, বিএলএস।

মন্টু: হ্যাঁ, শওকত, কেমন আছ?

শওকত: আছি ভালো, আপনি কেমন আছেন? আমি একটা ইমপোর্ট্যান্ট খবর দেয়ার জন্য আপনাকে ফোন করলাম। আপনি ড. কামাল হোসেনকে যে কোনোভাবে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে যান। কারণ ওনার ওপরে অ্যাটেম্পটড আছে। রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য, যদি টাকা পয়সা কাজ না হয় বিএনপির। তা হলে তাদের লাস্ট চেষ্টা হবে ড. কামাল হোসেনকে হত্যা করা। ড. কামাল হোসেন বিএনপির কেউ না। বরং ওনাকে মারলে তারা রাজনৈতিক ফায়দা লুটবে।

মন্টু: হুম!
শওকত: বুঝছেন, মন্টু ভাই আপনি ইমিডিয়েটলি, যেহেতু আমরা একসঙ্গের, আমরা লন্ডন থেকে খবর পেয়েছি যে তারেক রহমানের খুবই ক্লোজড, আমাদের সিলেটি। কারণ লন্ডনে বিএনপির সব নেতাকর্মী হচ্ছেন সিলেটের । এবং সে তারেক রহমানের খুব কাছের। অলরেডি দুবাই থেকে সাতজন কিলার আপনার পাকিস্তানি বাংলাদেশে ঢুকছে। এবং লাস্ট মোমেন্টে তারা চেষ্টা করবে, ইভেন ইলেকশনের আগের দিনের হলেও ড. কামাল হোসেনকে হত্যা করা।

শওকত: আপনাদের কাউকে অপমান করছেন ড. কামাল হোসেন, সেই অজুহাতে উনাকে নিয়ে আসেন। উনাকে সেফ করা হচ্ছে এখন আপনাদের দায়িত্ব।

মন্টু: উনাকে কোথায় নিয়ে যাবে?

শওকত: ওরা ধরে নিয়ে কাস্টোড়িতে রাখবে। সেফ কাস্টোড়িতে।

মন্টু: কাস্টোডিতে রাখবে, কাস্টোডিতে রেখে নিরাপত্তা দিলে তো…

শওকত: কারণ বাইরে উনার লাইফ…

মন্টু: উনাকে কি গ্রাউন্ডে নিয়ে যাবে?

শওকত: উনার জীবনের নিরাপত্তার জন্য, কোনো গ্রাউন্ড তো এখানে ব্যাপার না।

মন্টু: নিরাপত্তা তো জাতীয় চার নেতার জেলখানার ভেতরেও ছিল? আমাদের হেফাজতে কি মানুষ মরে না?

শওকত: তা তো মরে। কিন্তু এখন পলিটিক্যাল, রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য যদি কেউ করে এটা। সূত্র: সময় টিভি

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.