তবুও তোমায় মনে পড়ে
এডভোকেট সিমকী ইমাম খান।
ঘৃনা ভরে সেদিন তোমাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলাম,
তবুও তোমাকে মনে পড়ে,
কারণ তোমার সাথে আমার
জীবনের বহু স্মৃতি জড়িয়ে আছে।
শত্রু, বন্ধু কিংবা জীবন সাথী হিসাবে
তুমি আমার শরীরের হ্রদপিণ্ডের কোথায় যেন
লুকিয়ে থাকো বর্ন চূড়ার মতো,
তোমার এহেন আচরণগুলি আমাকে পোড়ায়
আমার ক্রোদ বাড়িয়ে দেয়,
আবার আমি প্রশমিত হই,
তার পরও দিনের কোন এক্ষণে
তবুও তোমায় মনে পড়ে।
এতো দাম্ভিকতা নিয়ে এতো দিন তুমি বসত করেছো
আমার আঙ্গীনায়, আমারই বাগানে
প্রজাপতির মতো ডানা মেলে বিচরণ করেছো
আর আমি শুধু বাগানের ফুল ফুটিয়েছি, ফল উপহার দিয়েছি
দাসত্ব করেছি কার জন্য?
ধিক্কার জানাই তোমার মতো হীন কাপুরুষকে।
তার পরেও, তবু তোমায় মনে পড়ে।
আমি কেমন আছি ?
হয়তো তোমার মনে প্রশ্ন আসতে পারে।
হ্যাঁ আমি ভালো আছি
ইনশাআল্লাহ্ ভালো থাকবো
এখানে আমি বিবেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ নয় কখনোই।
তুমি কেমন আছো? আমার মনে প্রশ্ন জাগে,
তুমি কোনদিনও ভালো থাকবেনা
হয়তো সাময়িক আনন্দ উল্লাসে
রমনীরসে তুমি আত্নহারা হয়ে স্বপ্নের জগতে বিচরণ কর,
কিছুক্ষণ পরই নেশার ঘোর কেটে গেলে
তুমি উন্মাদ পাগল হয়ে যাও আমি নি:শ্চিত,
কারণ তুমি পাপিষ্ঠ পাষাণ, আত্ন- অহংকারে তুমি অলংকৃত।
মায়া হয় তোমার জন্য
তুমি মিথ্যুক নির্বোধ জ্ঞান পাপী।
তার পরেও, তবুও তোমায় মনে পড়ে।
আর কোন দাবি নিয়ে নয়
একটি মেয়ে হিসাবে বলছি,
শেষ জীবনে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপিত হওয়ার আগেই
বেলা শেষে আবারো শেষবারের মতো
পশুস্বত্তাকে বিষর্জন দাও
তোমার দেয়া আঘাতের ক্ষত আমার শরীরে এখনো বিদ্যমান
তার পরও আমি উদারমনা, তুমি নিষ্ঠুর নিষ্ঠুর
তবুও তোমায় মনে পড়ে !!