তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণার প্রতিবাদ ও উদ্বেগ জানিয়েছে ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি।

738

নিউজবিডি ইউএস ডেস্কঃতারেক রহমানকে ৭ বছরের কারাদন্ড দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি। ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি’র পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এ বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান অবৈধ আওয়ামী সরকার যেভাবে তারেক রহমান ও খালেদা জিয়াসহ জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে তথা জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিঃশেষ করে দিতে চাচ্ছে তা কখনো সম্ভব হবে না। জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরাতে এবং হয়রানিমূলক মামলা রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে যথেচ্ছ ব্যবহার সরকারের আজ নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে যা গণতন্ত্রের জন্য অশুভকর। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

a212d8e0-ab0d-4f14-92af-26c0797009e0

এই সরকারের আন্দোলনের ফসল ১/১১ এর মঈনউদ্দন-ফখরুদ্দিনের সরকার তারেক রহমানের ওপর চালিয়েছে নিষ্ঠুর ও বর্বর নির্যাতন। এরই ধারাবাহিকতায় এখনও পর্যন্ত চলছে তাঁর ওপর নানামূখী মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা, হুমকি, মিথ্যাচার ও কুৎসা রটনাসহ এখন খালাস পাওয়া একটি মামলায় আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে একেবারে অন্যায় অন্যায্যভাবে সাজা দেয়া হয়েছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দিয়ে আপিল করানো হয়। উদ্দেশ্য, তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা এবং তিনি যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারেন সেই ব্যবস্থা করা। সেজন্য তার বিরুদ্ধে এই রায়। গণতন্ত্র ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে যারা বিশ্বাস করে, যাদের মধ্যে দেশপ্রেম রয়েছে; তাদের কাছে এই রায় গুরুত্বপূর্ণ। তবে রায় নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। প্রয়োজনে আমরা প্রতিবাদ জানাব।
ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি’র নেতারা বলেন, আমরা জানি, এই সরকারের কাছে কোনোকিছু চেয়ে লাভ হবে না। সেজন্য একমাত্র ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই অনির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আমরা তারেক রহমানকে মুক্ত করে আনবো, ইনশাল্লাহ।
বর্তমান ভোটারবিহীন অবৈধ আওয়ামী সরকার ভংঙ্কর চক্রান্তজালে দেশকে আটকে রাখতে চাচ্ছে। নতুন নতুন কুটচাল দিয়ে অবৈধ ক্ষমতাকে ধরে রেখেছে। দেশ থেকে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য নীল নক্শা অনুযায়ী একের পর এক ফাঁদ তৈরী করতে জ্ঞাত অজ্ঞাত বিভিষিকা নামিয়ে আনা হয়েছে সারাদেশব্যাপী। খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে নানাভাবে পর্যদুস্ত করতে প্রতিহিংসার ছোবল দিয়ে যাচ্ছেন বিরতিহীনভাবে।
এই অবৈধ আওয়ামী সরকার এগিয়ে চলেছে এক মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে। সেই দুরভীসন্ধিমূলক পরিকল্পনা হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতির দৃশ্যপট থেকে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে সরিয়ে দেয়া। এজন্যই দেশব্যাপী নানাধরণের নি:শ্বাসরোধকারী, জীবনসংহারী সহিংস রক্তপাতের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। গুম আর বন্দুকযুদ্ধের নামে মানুষ হত্যার ভয়ংকর প্রবণতাকে টিকিয়ে রাখার পরেও দেশে ভয়াবহ সন্ত্রাসের নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে উগ্রবাদী জঙ্গীগোষ্ঠীর রক্তঝরা তান্ডবে।
আওয়ামী লীগ এখন আর একটি রাজনৈতিক দল নয় বলে মন্তব্য করে বলা হয়, আওয়ামী লীগ তার ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলে ক্ষমতার লালসায় দু:শাসনের মাধ্যমে দেশের জনগণকে বিষম মরণঘূর্নিতে ফেলে দিয়েছে। ফলে পথবিচ্যুৎ এই দলটি বহুত্ত¡বাদী গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা সবকিছুকে জলাঞ্জলি দিয়েছে এবং দলটির প্রধান দেশের প্রধানমন্ত্রী পার্শ্ববর্তী একটি দেশের পক্ষে নিজেকে বাংলাদেশের কেয়ারটেকারে পরিণত করেছেন।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বেগম খালেদা জিয়া যখন সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, তখন এই রায় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের যে বক্তব্য তার সঙ্গে মিলে গেলো। অর্থাৎ তারা কোনো জাতীয় ঐক্যে বিশ্বাস করেন না। এই সন্ত্রাস-উগ্রবাদকে তারাই মদদ দিচ্ছে। এই জন্য তারা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে, হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে গ্রেপ্তার করছে।’ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়, আমাদের এখন ঘরে বসে থাকার সময় নেই। দলকে সংগঠিত করতে হবে। পারস্পরিক ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই অর্থপাচার মামলায় তারেক রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করে আদালত। এর আগে, অর্থপাচারের অভিযোগে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করে দুদক। বিচার শেষে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন। অপর আসামি গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি’র এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আটককৃত বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে নতুন মামলা দিয়ে পুনরায় আটকে রাখার ন্যায়নীতি বিবর্জিত কর্মকান্ড যেন সরকারের মজ্জাগত হয়ে গেছে। এই ধ্বংসরাজ সরকার একদিকে বন্দুকযুদ্ধের নামে বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীকে হত্যা, পাইকারী গ্রেফতার এবং পুলিশী নির্যাতনের শিকার হওয়াচ্ছেন আবার অন্যদিকে নতুন নতুন মিথ্যা মামলা সৃষ্টি করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখার পীড়ণ নির্যাতনের এক অভিনব নিষ্ঠুর কৌশল অবলম্বন করছে।
ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি’র পক্ষে বিবৃতিতে সভাপতি মো. আ. বাছিত সহ আরও স্বাক্ষর করেছেন- নজরুল ইসলাম চৌধুরী কাঞ্চন, মুর্শেদুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান শাহীন, সামসুজ্জোহা বাবলু, মাহতাব আহমেদ, আহসান হাফিজ রুমী, সালাম দাড়িয়া, বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু, এম. ওয়াহিদ রহমান, জুনেল আহমেদ, ডাবলু আমিন, ফারুক হাওলাদার, লায়েক আহমেদ, সৈয়দ নাসিরউদ্দিন জেবুল, মারুফ খান, মোয়াজ্জেম আহমেদ রাসেল, বদরুল আলম মাসুদ, শাহীন হক, মিকায়েল খান রাসেল, শাহাদাত শাহীন, লোকমান হোসেন, জাভেদ বখত, সেলিমা ইয়াসমিন, রওশন আরা, আবদুল হাকিম, খন্দকার তসলিম, আমজাদ হোসেন, মন্টু চৌধুরি, মুনিম আহমেদ, আবুল হোসাইন, মোস্তফা কামাল, ওমর ফারুক, বাবুল হোসেন, পারভেজ, হাসানুজ্জামান মিজান, শান্ত, ইলিয়াস শিকদার, মামুন খান, ফেরদৌস সুজন, মিশর নুন, মাহমুদ, আলি হায়দার মিল্টন, তারিক বাবু, আলমগীর, আউয়াল অপু, হালিম, এনাম, জহির, হামিদ খোকন, পলাশ, নাঈম, ফাহিম, ইমন, শহিদ ও হীরা সহ স্হানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা।(বিজ্ঞপ্তি)

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.