তিন দশক পর অর্থমন্ত্রী হারালো সিলেট

441

অর্থমন্ত্রণালয় নিয়ে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটলো এবার। টানা প্রায় তিন দশক অর্থমন্ত্রী ছিলেন সিলেটের। এবারই প্রথম সিলেট থেকে হাতছাড়া হলো অর্থমন্ত্রণালয়। অথচ পূণ্যভূমি খ্যাত সিলেট-১ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যই সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান, এমন ‘মিথ’ প্রচলিত থাকলেও এবারই ঘটলো ব্যতিক্রম।

Untitled-220190106204456

এ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রীর সহোদর ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার গুঞ্জন থাকলেও তিনি পেয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আর টেকনোক্র্যাটে অর্থমন্ত্রী হওয়ার আলোচনায় ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর হবিগঞ্জের কৃতী সন্তান ফরাসউদ্দিন আহমদ। গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রণালয় পাওয়া নিয়ে আলোচনায় ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নানও। কিন্তু সব আলোচনা ডিঙিয়ে অর্থের ভাণ্ডার হাতছাড়া হয়ে এবার গেলো কুমিল্লায়।

গত ২৮ বছর বিভিন্ন সরকারের আমলেই সিলেটিরা অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। অর্থমন্ত্রণালয় মানেই সিলেটিদের দখলে, রাজনীতিতে এই ধারণা এবার ভুল হয়ে গেলো।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৮০ সালের ২৫ এপ্রিল জিয়াউর রহমান সরকারের আমলে এম সাইফুর রহমানের হাত ধরে অর্থমন্ত্রণালয় আসে সিলেটে। তিনি দায়িত্ব পালন করেন ২৯৮২ সালের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত।

এরপর ১৯৮২ সালের ৩১ মার্চ এরশাদ সরকারের আমলে অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান আরেক সিলেটি আবুল মাল আবদুল মুহিত। ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

এরপর বিরতি টেনে ১৯৯১ সালের ২০ মার্চ থেকে ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ পর্যন্ত ফের অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান এম সাইফুর রহমান।

১৯৯৬ সালের ২৩ জুন থেকে অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আসেন আরেক সিলেটি শাহ এ এম এস কিবরিয়া। তিনি ২০০১ সালের ১৬ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

এরপর ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ফের দায়িত্বে আসেন এম সাইফুর রহমান।

২০০৯ সালের ৬ জুন থেকে অর্থমন্ত্রণালয়ের চলতি দায়িত্বে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) শপথ নিতে যাওয়া মন্ত্রিপরিষদে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন কুমিল্লা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আ হ ম মোস্তফা কামাল। ফলে সিলেট থেকে কুমিল্লায় যাচ্ছে ‘অর্থের ভান্ডার’।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.