দুআ কবুলের অব্যর্থ পাঁচ সময়
দুআ হলো মহান রাব্বুল আলামিনকে ডাকা, তাঁর কাছে কিছু চাওয়া। এই চাওয়া হতে পারে কোনো বিপদ-মুসিবত থেকে উত্তরণের জন্য তাঁর কাছে আকুতি জানানো অথবা রিযিকের সংকীর্ণতা দূর করে স্বচ্ছলতার প্রার্থনা করাসহ যে কোন বৈধ কিছুর প্রার্থনা।
মহান আল্লাহ তাঁর কাছে বান্দা কিছু চাইলে তিনি খুশি হন, না চাইলে তিনি বরং অসন্তুষ্ট হন। হাদিস শরীফে এসেছে, من لم يسأل الله يغضب عليه যে আল্লাহর কাছে চায় না, আল্লাহ তার উপর রাগান্বিত হন। (মুসনাদে আহমাদ)
দুআ করার কোন নিষিদ্ধ সময় নেই। দুআ কবুলেরও কোন প্রতিবন্ধক সময় নেই যে এ সময় দুআ করলে কবুল করেন না আল্লাহ। যখন প্রয়োজন, যখন ইচ্ছা দুআ করা যায়। তবে হাদিস শরীফে দুআ কবুলের বিশেষ কিছু সময়ের কথা বলা হয়েছে যখন বান্দা কিছু চাইলে আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না। তাহলে চলুন হাদিস থেকে জেনে নিই সে সময়গুলো।
১. রাতের শেষ তৃতীয়াংশে
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ পৃথিবীর নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন, কে আছো যে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আছো যে আমার কাছে চাইবে? আমি তাকে তা দান করবো। কে আছো আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকারী’ আমি তাঁকে ক্ষমা করে দেব। (মুসলিম)
২. জুমার দিন
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) আমাদের একদিন শুক্রবারে ফজিলত নিয়ে আলোচনা করছিলেন । আলোচনায় সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যে সময়টায় যদি কোনো মুসলিম নামাজ আদায়রত অবস্থায় পায় এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ মহান অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দুআ কবুল করবেন এবং এরপর রাসূল (সা.) তার হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টা সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন।’ (বুখারি)
৩. আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়
হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দুআ করা হলে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।’ (তিরমিজি)
৪. সেজদারত অবস্থায়
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে সময়টাতে বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটতম অবস্থায় থাকে তা হলো সেজদারত অবস্থা। সুতরাং তোমরা সে সময় আল্লাহর কাছে বেশি বেশি চাও বা প্রার্থনা করো।’ (মুসলিম)
৫. যমযমের পানি পান করার সময়
রাসূল (সা.) বলেন, ‘জমজম পানি যে নিয়তে পান করা হবে, তা কবুল হবে।’ অর্থাৎ এই পানি পান করার সময় যে দুআ করা হবে, ইনশাআল্লাহ তা অবশ্যই কবুল হবে। (ইবনে মাজাহ)
রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।