দুই মাসের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পাবেন: দুদক চেয়ারম্যান

507

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন,সদ্য বিদায়ী মন্ত্রীদের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ যদি থাকে আমরা অভিযোগ অনুসন্ধান করব। আমরা দৃশ্যমান কিছু করব। যদি অভিযোগ থাকে। এটুকু বলতে পারি, দুর্নীতি বন্ধে আগামী দ’মাসের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি আপনারা দেখতে পাবেন। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাব।

image-131088-1546965945

মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকার অনেক পুরাতন মন্ত্রীকে বাদ দিয়েছে। তাদের কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও আছে। তাদের বিষয়ে কাজ করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, মন্ত্রী মহোদয়দের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে উত্তর দেয়া কঠিন। সাবেক বা বর্তমান হিসেবে কোনো কথা নেই, দুর্নীতিবাজ হিসেবে খ্যাত দুর্নীতির গন্ধ যেখানে আছে সেখানে আমরা কাজ করব। আমরা কোনো ব্যক্তিকে পৃথক করতে চাই না। আমরা সবাইকে একই পাল্লায় মাপতে চাই।

যারা বাদ পড়েছেন তাদের বিষয়টা দেখবেন কিনা এর জবাবে তিনি বলেন, দুর্নীতি যিনিই করেছেন বা করবেন বা করেছিলেন আমাদের নজরে আসলে আমরা তা নিয়ে কাজ করব। কারণ আইন আমার হাতে আছে।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমরা নতুনভাবে এবং দৃঢ়ভাবে আস্থার সঙ্গে নতুন বছরে কাজ করতে চাই। নতুন সরকারের ম্যানডেট নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই না। তবে দুদকের ম্যানডেট আছে। এটা আইনেই বলা আছে। আমরা আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী। দুর্নীতি বন্ধে সরকারের যে রাজনৈতিক অঙ্গীকার আমরা দেখছি। ‘মরনিং শোজ দ্যা ডে’।

তিনি বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি সরকার আমাদের সব ধরনের সাহায্য সহায়তা করবে। আমরা সরকারের এই রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য যা যা করা দরকার করব। দলমত-নির্বিশেষে আমরা কারও দিকে তাকাব না। নিয়োগ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ সব জায়গায় যেখানে অনিয়ম দুর্নীতি আছে আমরা তা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করব। সেই সঙ্গে দমনেরও কাজ করব। এক্ষেত্রে কোনো বাধাই আমরা মানব না।

৩০০ আসনে এমপিদের হলফনামা নিয়ে দুদক কাজ করবে বলে যে অঙ্গীকার ছিল তা পূর্ণ হবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ কাজটা এমন নয় যে ‘ধর মার’। আমরা ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি। এতে যারা কালো টাকার সন্ধান দিয়েছে তাদের ছাড়ব না। আগামি প্রজন্মের জন্যই কাজটি করতে হবে। এ জন্য প্রত্যেকটাই (এমপিদের হলফনামা ) আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখব।

দুমাসের জন্য দুদকের কোনো ক্রাশ প্রোগ্রাম আছে কিনা জানতে চাইলে ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুমাস এ জন্য বলছি যে, গত তিন মাস স্ট্র্যাটেজিক্যাল কারণে বা যে কোনো কারণেই হোক আমরা কাজ করতে পারিনি। সে কাজটা পুষিয়ে নেয়ার জন্য দুমাস বলেছি। এটা কোনো ক্রাশ প্রোগ্রাম না।

বেসিক ব্যাংকের বিষয়ে দুমাসের মধ্যে অগ্রগতি দেখব কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, শুধু বেসিক ব্যাংক নয়। যে কোনো ব্যাংকের বিষয়েই অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে। আর্থিক খাতসহ সব ধরনের দুর্নীতি নিয়ে জিরো টলারেন্স। আমরা কোনো মেগা প্রজেক্ট বা নিয়োগের বিষয়ে সম্পৃক্ত থাকব না। আমরা শুধু দেখব। আমাদের টিম কাজ করছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.