দুর্নীতি করলে শাস্তি পেতে হয়:প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতির দায়ে খালেদা জিয়ার শাস্তির কথা আঁচ করেই গঠনতন্ত্র সংশোধন করেছিল বিএনপি।
যে রাজনৈতিক দল দুর্নীতিকেই নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে তারা কখনো মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারবে না। কেউ দুর্নীতি করলে তার শাস্তি পেতেই হবে।
বুধবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবে জাতীয় সংসদে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, বিএনপি আগেই জানতো কি না জানি না। দুর্নীতিকে তারা প্রশ্রয় দিয়ে তাদের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে দুর্নীতিবাজকেই নেতা হিসাবে মেনে নিলো। বিএনপিতে কি দুর্নীতিবাজ ছাড়া এমন কেউ নেই?
‘মা-ছেলে দুজনের দুর্নীতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আমাদের দেশের দুর্নীতি কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের দলের যেকোন নেতা দুর্নীতিবাজ হলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমরা কিছুই বলিনি। কিন্তু বিএনপি পারলে জজ কে হুমকি দিয়ে বসেন। আমরা মাদক, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সবাই মিলে কাজ করে যাচ্ছি। দুর্নীতি করলে তার শাস্তি পেতেই হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির শাসন আমলে যশোর থেকে শুরু করে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট সংখ্যালঘুদের উপর নির্মম অত্যাচার করেছে, আমাদের উপর গ্রেনেড হামলা, দেশের ৬৩ টি জেলার ৫০০ জায়গায় একসঙ্গে বোমা হামলা চালিয়েছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীদের অত্যাচার করে হত্যা করেছে। পাবনার ফলজানা গ্রামের প্রায় ২০০ খিস্ট্রান পরিবারের উপর অত্যাচার করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমার উপর ঢাকার পান্থপথে, চট্রগ্রামে গুলি চালানো হয়। কোটাওয়ালি পাড়ায় বোমা পুতে রাখা হয়েছে আমাকে হত্যা করতে। সেনাবাহিনী থেকে বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেছে তারা। আমরাও বঙ্গবন্ধু মেমরিয়াল ট্রাস্ট থেকে ১৮০০ লোককে আর্থিক সহায়তা করে থাকি। আমাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা হয়েছে। আল্লার রহমতে কোনকিছু খুঁজে বের করতে পারেনি।’
বাবার একমাত্র বাড়িটাও জনগণের জন্য জাদুঘর করে দিয়েছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া সামান্য দুই কোটি টাকার লোভ সামলাতে পারেনি। ১০ বছর ধরে তার এই মামলা ঝুলে আছে। ৩৮ কর্মদিবসে ধরে ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এ রায় হয়েছে। কিন্তু কোথাও জিয়া এতিমখানা দেখাতে পারেনি তারা।