দড়িপাড়া গ্রামে পুলিশের হামলা- ওয়াশিংটনডিসিতে সমাবেশ:ক্ষুব্ধ প্রবাসীরা
সুবীর কাস্মীর পেরেরা,ওয়াশিংটনডিসি : সম্প্রতি বাংলাদেশে দড়িপাড়া গ্রামে পুলিশেরলাগামহীন চাঁদাবাজি, হয়রানি,হামলা ওগুলিবর্ষণের প্রতিবাদে গ্রেটার ওয়াশিংটনডিসি এলাকারখ্রিষ্টান নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ ও প্রতিবাদ সভারআয়োজন করে। সমাবেশে ভাওয়াল এলাকারনেতৃবন্দ ছাড়াও অন্যান্য এলাকার খ্রীষ্টভক্তগণউপস্থিত ছিলেন। গত ৩০ মার্চ মেরিল্যান্ডের সিলভার স্প্রিং এলাকায়বিসিএ কমিউনিটি কেয়ার ইউনিট অডিটোরিয়ামেসন্ধ্যা ছয় ঘটিকায় প্রতিবাদ ও আলোচনা সভারআয়োজন করে প্রবাসী দড়িপাড়া ধর্মপল্লীরনেতৃবৃন্দ। শ্যামল ডি’কস্তা শুরুতে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েসভার কাজ শুরু করেন। পল ফিলিপ রোজারিওসম্প্রতি ঘটে যাওয়ার ঘটনার বিবরণ ও সর্বশেষঅবস্থা সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করে। সুবাসসেলেষ্টিন রোজারিও এর সভাপতিত্বে ও শ্যামল দি’কস্তার সঞ্চালনে সভায় বক্তাগণ ঘটনারআলোকে প্রবাসীদের করণীয় বিষয়ে আলোচনা ওন্যাক্কাজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বেসুষ্ঠূ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারে আওতায়আনার দাবি জানান। বক্তারা আংশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দড়িপাড়াতেযে ঘটনা ঘটেছে তা এখন প্রতিহত না করা গেলেভাওয়াল অঞ্চলের অন্যান্য স্থানে এমন ধারাবাহিকঘটনা ঘটতে পারে। তারা কালীগঞ্জ থানার এসপির বিরুদ্ধে নানাঅভিযোগ থাকা স্বত্বেও এখনো সে বহাল তবিয়তেআছে। ঘটনার এই মূল হোতা এখন ছুটিতেথাকায় তাকে থানা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়নি। সাবেক এক শিক্ষক বলেন, একাত্তর সালেদড়িপাড়া রাঙামাটিয়াতে পাক সেনারা এমন বর্বরনির্যাতন চালিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যাসহ বাড়িঘরজ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করেছিল। ঠিক এমনপরিস্থিতির শিকার হয়েছে দড়িপাড়ার মানুষ। সাবেক এক ছাত্র ও যুব নেতা বলেন, দরিপাড়া গ্রামের ই দুঃসময়ে সকলকে এক সাথে এগিয়ে আসতে হবে । প্রয়োজনে তাদের আরথিকভাবে সহায়তা দিতে হবে । সামপ্রতিক কালিগঞ্জ থানার পুলিশের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি, হয়রানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে । পুলিশ যখন তখন বাড়িতে গিয়ে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এমন মাদক দ্রব্য ও আস্ত্র মামলার ভয় দেখিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে । তারই ধারাবাহিকতার প্রকাশ গত ২৪ মার্চের ঘটনা । সভার স্পবার সম্মপতি ক্রমে পাঁচ দফা দাবী উত্থাপন করা হয়। এই দফা বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে । আগামী ৭ দিনের মধ্য সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অপরাধীদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণসহ শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে । অত্র এলাকায় মুখোশধারী পুলিশদের অবৈধ তৎপরতা চাঁদাবাজি, ঘুষ, হয়রানী ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে । নেতৃবৃন্দ আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্য এলাকায় শান্তি বিরাজ করতে সরকার বিশষ ভুমিকা পালন করবে । সভার গ্রেটার ওয়াশিংটনডিসি এলাকার ভিবিন্ন সংগঠন, সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গসহ অর্ধ শাতাধিক খ্রিস্টভক্ত উপস্থিত ছিলেন ।