নতুন এই উড়োজাহাজ কিনলেন মেসি

457

লিওনেল মেসির ব্যক্তিগত বিমান অনেক আগে থেকেই আছে। নিজের সেই উড়ালে চেপেই স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বার্সেলোনা-আর্জেন্টিনা, আর্জেন্টিনা-বার্সেলোনা যাতায়াত করেন তিনি। কিন্তু উড়োজাহাজটা সেই কবে কিনেছেন, পুরোনো হয়ে গেছে। ভ্রমণেও আরাম নেই। নিজের শানশওকত, মান-মর্যাদা রক্ষার্থেও তো নতুন গা ঝকঝকে বিলাসবহুল একটা বিমান থাকা চাই। সেটাই করলেন মেসি। নতুন আরেকটা জেট বিমান কিনে ফিললেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকা।

1544271217_143787_154427142

আর্জেন্টিনার ওয়েবসাইট ‘ডাবল আমারিল্লা’ এই সংবাদ দিয়েছে। শুধু খবর নয়, প্রতিবেদনের সঙ্গে নতুন জেট বিমানটির ছবিও ছাপিয়েছে। বিমানটির গায়ে লেখাগুলো স্পষ্ট করেই বলে দিচ্ছে, এলভি-আইআরও গলফস্ট্রিম ভি ব্র্যান্ডের বিমানটি আর কারো নয়, স্বয়ং মেসির।

নিশ্চয় বিমানটির দাম জানতে ইচ্ছে করছে খুব। দাম খুব বেশি না। বিমানটির পেছনে তাকে ঢালতে হয়েছে মাত্র ১৫ মিলিয়ন ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪২ কোটি ৯৬ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫৮ টাকা মাত্র।

 মেসির জন্য নতুন। তবে উড়ালটি একেবারে নতুন নয়। গলফস্ট্রিম ভি ব্র্যান্ডের বিমানটি তৈরি ২০০৪ সালে। বিমানটিতে ১৬টি বিলাবহুল সিট আছে। আছে দুটি বাথরুম, যার একটিতে শাওয়ারও আছে। আছে দুটি রান্নার রুমও। কেনার পরই বিমানটিতে নিজস্বতার ছাপ মেরেছেন মেসি। এনেছেন পরিবর্তন। বিমানটির লেজে যেমন লিখেছেন নিজের জার্সি নম্বর ‘১০’।

বিমানটির সিড়িগুলো তো পুরো মেসি পরিবারকেই পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। সিড়ির ধাপে ধাপে লেখা ‘লিও, আন্তোনেল্লা, থিয়াগো, সিরো এবং মাতেও।’

নামগুলো শুনেই ফুটবলপ্রেমীদের কথা, লিও বলতে তিনি নিজে। আন্তেনেল্লা রোকুজ্জো হলেন তার স্ত্রী। থিয়াগো, সিরো ও মাতেও-তার তিন ছেলে। ডাবলআমরিল্লা জানিয়েছে, বিমানটি কেনা হয় যুক্তরাষ্ট্রে। তবে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে আর্জেন্টিনায়। গত শুক্রবারই যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিমানটি আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেস বিমানবন্দরে আনা হয়েছে। বিমানটি উঠা-নামা বা রাখার জন্য দ্রুতই সান ফার্নান্দো শহরে একটা বিমানপোত নির্মাণ করা হবে।

পুরোনোটি বাদ। এখন থেকে নতুন এই লাক্সারি উড়ালে চেপেই যাতায়াত করবে মেসি-পরিবার।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.